প্রভাষক জাহিদ হাসান
দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেক্স
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাবে সেখানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বাসিন্দারা। স্থলপথে ত্রাণ পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের নানা বিধিনিষেধ ও অবরোধের কারণে। ফলে আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ আবারও আলোচনায় এসেছে।
এই প্রেক্ষাপটে জর্ডান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আকাশপথে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের উদ্যোগ নিচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইসরায়েল তাদেরকে এই কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেবে।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, শুক্রবার (২৫ জুলাই) থেকেই জর্ডান বিমানের মাধ্যমে গাজায় জরুরি খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছানোর কাজ শুরু করতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতও শিগগিরই একই রকম উদ্যোগ নেবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন দেশ আকাশপথে গাজায় ত্রাণ ফেলেছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী জর্ডান, মিসর এবং ফ্রান্সের সঙ্গে সমন্বয় করে আকাশ থেকে কয়েক হাজার ত্রাণ প্যাকেট ফেলেছিল। তবে ওই সময় প্যারাস্যুটে ফেলা কিছু প্যাকেট জনবহুল এলাকায় পড়ে পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
সাধারণত সমুদ্র বা জনবসতিহীন এলাকাকে লক্ষ্য করে এসব প্যাকেট ফেলা হলেও, কখনো কখনো বাতাসের ধাক্কায় তা জনবহুল এলাকায় চলে আসে, যা দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ায়।
এই পরিস্থিতিতে আবারও আকাশপথে ত্রাণ ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জর্ডান ও আমিরাত। যদিও কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই, তথাপি মানবিক দিক বিবেচনায় অনেকেই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।