প্রভাষক জাহিদ হাসান | দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেস্ক
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় নতুন করে আরও অন্তত ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন ত্রাণ সংগ্রহের আশায় জড়ো হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, চরম খাদ্য সংকট ও অপুষ্টিজনিত কারণে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান এই যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিতে অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই শিশু।
ইসরায়েল চলতি বছরের মার্চ মাসে গাজা পুরোপুরি অবরোধ করে এবং ত্রাণ কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি করে। এরপর মে মাসে সামান্য কিছু ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হলেও তা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও অপর্যাপ্ত। ফলে পুরো অঞ্চলে দেখা দিয়েছে এক অভূতপূর্ব মানবিক সংকট।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ (UNRWA) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ব্যাপক খাদ্য সংকটের কারণে পরিবারগুলো ভেঙে পড়ছে। অনেক পিতা-মাতা এতটাই অনাহারে ভুগছেন যে সন্তানদের দেখভাল করতেও অক্ষম হয়ে পড়েছেন।
এক্স (সাবেক টুইটার) এ দেওয়া এক পোস্টে সংস্থার কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেন, “যেসব মানুষ ইউএনআরডব্লিউএ ক্লিনিকে আসছেন, তাদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা বা খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।”
এদিকে, জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ (OCHA) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী নিয়মিতভাবে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে অবস্থান নেওয়া সাধারণ মানুষ ও সাহায্য প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করছে।
আন্তর্জাতিক মহলে এই অবস্থা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে এবং গাজায় অবিলম্বে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দাবি করেছে।