শামীম হাওলাদার, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার
দৈনিক সংবাদ ৭১
গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় পুকুরে ডুবে নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম সাজু মিয়া (৩০)। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম দুলাল মিয়া।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সাজুর পকেটে থাকা একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরীক্ষার প্রবেশপত্র থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে হারানো মোবাইল ফোন সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে সাঘাটা থানায় যান সাজু মিয়া। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তাকে পরে আসতে বলা হয়। প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলেও, এক ঘণ্টা পর আবার থানায় ফিরে আসেন সাজু। এ সময় আচমকা এক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
এএসআই মহসিন আলী বাধা দিলে সাজু তার শরীরে লুকানো ছুরি বের করে এএসআই মহসিনের মাথা ও হাতে আঘাত করেন। এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে তিনি দৌড়ে সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে ঝাঁপ দেন।
পরে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয় দমকল বাহিনীর সদস্যরা শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
সাঘাটা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার রতন চন্দ্র শর্মা জানান, রংপুর থেকে আসা পাঁচ সদস্যের ডুবুরি দলসহ সাতজন মিলে ৪০ মিনিট চেষ্টার পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, কাগজপত্র না থাকায় সাজু জিডি করতে পারেননি। সে থানায় জানায়, তার কাছে বাড়ি ফেরার ভাড়াও নেই। এ সময় তাকে ৫০ টাকা দিয়ে সিএনজিতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক ঘণ্টা পর সে আবার ফিরে এসে হামলা চালায়।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।