প্রভাষক জাহিদ হাসান
দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেক্স |
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান ভয়াবহ মানবিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, সেখানে মানুষের দুর্ভোগ “অবর্ণনীয়” এবং “কোনোভাবেই যৌক্তিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।”
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দেওয়া এক বিবৃতিতে স্টারমার বলেন, “গাজার পরিস্থিতি অনেক দিন ধরেই গুরুতর থাকলেও বর্তমানে তা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আমরা এক বিপর্যয়কর মানবিক সংকটের সম্মুখীন।”
তিনি জানান, এই সংকট মোকাবিলায় জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতাদের সঙ্গে জরুরি আলোচনা করবেন, যাতে করে নিহতদের সংখ্যা কমানো এবং খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা যায়।
প্রতিদিনই গাজায় খাদ্য সহায়তার লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় গঠিত বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ কার্যকর না হওয়ায় সেখানে খাদ্য ও ওষুধের সংকট আরও বেড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গাজার প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ বর্তমানে দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন।
এর আগে, সোমবার যুক্তরাজ্যসহ ২৮টি দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলকে ত্রাণ সরবরাহে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরায়েলের ত্রাণ সরবরাহ ব্যবস্থাপনা বিপজ্জনক এবং তা গাজাবাসীকে মানবিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করছে।”
এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ লেবার পার্টির অনেক এমপি স্টারমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন যেন তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেন। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বানও উঠে এসেছে।
স্টারমার বলেন, “ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রের অধিকার অপরিবর্তনযোগ্য ও মৌলিক। আমরা তখনই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেব, যখন মধ্যপ্রাচ্য সংকটের একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধান আসবে।”
বৃহস্পতিবার রাতে আরেক বিবৃতিতে তিনি ইসরায়েলকে “পথ পরিবর্তনের” আহ্বান জানান এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের শর্তহীন মুক্তির দাবিও করেন।
একই দিন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দিয়েছেন, ফ্রান্স আগামী সেপ্টেম্বরেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
অন্যদিকে, গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় চলমান আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল নিজেদের প্রতিনিধি দলগুলো ফিরিয়ে নিয়েছে। টানা দুই সপ্তাহের আলোচনায় কোনো সমাধান না আসায় এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
আরও আন্তর্জাতিক সংবাদ পড়ুন Dainik Sangbad 71