আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রভাষক জাহিদ হাসান
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভোর থেকে শুক্রবার (১৮ জুলাই) ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫০ জন। এতে করে চলমান আগ্রাসনে মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার ৬৭৭ জনে। আহতের সংখ্যা এক লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৪ জন।
আল জাজিরা আরবির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজার উত্তরের তেভাম এলাকায় মানবিক সহায়তা নিরাপত্তায় নিয়োজিত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে চালানো ড্রোন হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের স্বজনরা যখন গাজা সিটির শিফা হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে আসেন, তখন তাদের আহাজারিতে হাসপাতাল চত্বর ভারী হয়ে ওঠে।
এর আগে গাজার একমাত্র ক্যাথলিক গির্জা ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’-এ ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হন। ধর্মীয় এই স্থানে হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের সংখ্যা প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গির্জায় হামলা এবং ত্রাণকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ইসরায়েলি আগ্রাসনের এক নতুন মাত্রা নির্দেশ করে, যেখানে ধর্মীয় স্থান ও মানবিক সহায়তার কার্যক্রমও আর নিরাপদ নয়।
এদিকে, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুইয়েদা শহরের কাছে ইসরায়েল একটি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ওই এলাকায় দ্রুজ ও বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চলছিল।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে।