এম আলী আকবর, ব্যুরো চিফ, দৈনিক সংবাদ ৭১
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে উদ্ধারকৃত আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে দাফনের উদ্দেশ্যে তার মরদেহ নেওয়া হয়েছে নিজ জেলা টাঙ্গাইলে। মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লিখিত মুচলেকা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। জানাজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে এর পেছনের কারণ উদঘাটনে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তার সহপাঠী ও বন্ধু-বান্ধবরা। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইনসানুল ইমাম এক ফেসবুক লাইভে বলেন, “সাজিদ সাঁতার জানতো। তাহলে সে কীভাবে পুকুরে ডুবে মারা যেতে পারে? তার মৃত্যুকে ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। আমি তাকে বিকেল ৫টা ৫১ মিনিটে কল করেছিলাম, ফোন রিসিভ হলেও কোনো আওয়াজ পাইনি। অথচ তখনই পুকুরে তার মরদেহ ভেসে উঠছিল।”
জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় তদন্ত নিয়ে প্রশাসনের অসহযোগিতা ও গাফিলতির অভিযোগ তুলে বাধা দেয় শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে ইনসানুল ইমাম লাশবাহী গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়েন। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাদা কাগজে লিখিতভাবে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়।
মুচলেকায় বলা হয়, “আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে এবং সকল বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করা হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “সাজিদ আমাদের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে এবং আজকের মধ্যেই তা চূড়ান্ত হবে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে। সিসিটিভি ফুটেজসহ সকল বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।”