আজিজুর রহমান, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার
আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার মুখে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা আশ্রয় নিয়েছেন গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জে পথযাত্রা শেষে মাদারীপুর যাওয়ার পথে এনসিপির গাড়িবহরে এ হামলা চালানো হয়।
এনসিপি নেতারা জানান, “আমাদের গাড়িবহরের একটি অংশ মাদারীপুরের দিকে রওনা দিলেও পথেই হামলার আশঙ্কায় থেমে যেতে হয়েছে। বাকি অংশের ওপর আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আমরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি।”
এনসিপি নেতা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী অভিযোগ করে বলেন, “আমরা যখন গোপালগঞ্জ ছেড়ে মাদারীপুরের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এখন আমরা একপ্রকার অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি শান্ত বললেও, বাস্তবে পুলিশ ও আর্মি সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।”
সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সদস্যদের রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এনসিপি’র গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এমনকি পুলিশের সঙ্গেও তাদের সংঘর্ষ বাধে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা সাউন্ড সিস্টেম, মাইক, চেয়ার ভাঙচুর করে এবং নেতাকর্মীদের ওপর শারীরিক হামলা চালায়।
এর আগে, এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যেই ইউএনওর গাড়িবহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।