এম আলী আকবর, দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেক্স
যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই একটি শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে—এই নিয়মের সুযোগ নিতে প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অসংখ্য দম্পতি সন্তান জন্মদানে আমেরিকায় আসছেন। যদিও বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রদানসংক্রান্ত আইন বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে এবং এটি বর্তমানে আদালতে স্থগিত রয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো শিশুর বাবা-মা—দুজনের একজনও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হন অথবা তাদের বৈধ অভিবাসন স্ট্যাটাস (যেমন গ্রিন কার্ড) না থাকে, তবে শিশুটি নাগরিকত্ব পাবে না। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে এ বিধান কার্যকরের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও আদালতের আদেশে সেটি আপাতত আটকে আছে।
তবে এই আইনি অনিশ্চয়তার মধ্যেও অনেক বাংলাদেশি দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রে এসে সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, এই আশায় যে আদালতের রায়ে তাদের সন্তান নাগরিকত্ব লাভ করতে পারবে।
অনেক মার্কিন নাগরিক এ ধরণের পরিস্থিতিকে ভালো চোখে দেখছেন না। তাদের ভাষ্য, অনাগরিকদের দ্বারা এই পদ্ধতির অপব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
একজন মার্কিন নাগরিক বলেন, “ভিনদেশি মা-বাবারা সন্তান জন্ম দিয়ে নাগরিকত্ব নিচ্ছেন, অথচ তারা হাসপাতালের বিল পর্যন্ত পরিশোধ করছেন না। চিকিৎসার পর বিল বাসায় পাঠানো হলেও তখন তারা দেশে ফিরে যান। ফলে বিল আদায় করা সম্ভব হয় না।”
তাঁর মতে, এমন আচরণ অনৈতিক এবং মার্কিন নাগরিকদের অধিকার খর্ব করে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একজন অভিবাসন আইনজীবী (অ্যাটর্নি) বলেন, “বর্তমানে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রাপ্তির বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। জন্মের পর সংশ্লিষ্ট সব সরকারি প্রক্রিয়া শেষে বোঝা যাবে শিশুটিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে কি না।”
তিনি আরও বলেন, জন্ম নিবন্ধন, সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর ও পাসপোর্ট ইস্যু করার সময়ই স্পষ্ট হবে নবজাতকটি নাগরিকত্বের অধিকার পাচ্ছে কি না।
সূত্র: আইবিএননিউজ