এম আলী আকবর, দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেক্স
নাগরিকত্ব সীমিত করতে প্রস্তাবিত মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সারা দেশে স্থগিত করেছেন এক ফেডারেল বিচারক। নিউ হ্যাম্পশায়ারের কনকর্ডে অবস্থিত জেলা আদালতের বিচারক জোসেফ লাপ্লান্ত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক রায়ে এই স্থগিতাদেশ দেন।
এ আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প সরকার চেয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলেও যদি নবজাতকের বাবা-মা কেউই মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারী না হন, তাহলে শিশুটি নাগরিকত্ব পাবে না। তবে এই আদেশ স্থগিত করে বিচারক মন্তব্য করেন, "এটি একান্তই অপূরণীয় ক্ষতি হতো—অনেক শিশুকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করতো।"
বিচারক আরও জানান, অভিবাসন অধিকারকর্মীদের একটি শ্রেণি মামলা গ্রহণ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আদেশটি স্থগিত করেছেন। তবে সরকারের আপিলের সুযোগ দিতে সাতদিন পর থেকে স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে এবং দিনশেষে তিনি লিখিত রায় দেবেন বলেও উল্লেখ করেন।
বিচারক লাপ্লান্ত ১৮৯৮ সালের 'যুক্তরাষ্ট্র বনাম ওং কিম আর্ক' মামলার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের নাগরিকত্ব প্রাপ্তি তাদের পিতামাতার অভিবাসন অবস্থার ওপর নির্ভর করে না।
উল্লেখ্য, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের আদেশকে ২৭ জুলাই থেকে কার্যকরের অনুমতি দিলেও শ্রেণি মামলার ব্যতিক্রম রেখেছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (ACLU) ও অন্যান্য সংস্থা দ্রুত দুটি শ্রেণি মামলা দায়ের করে, যার একটি বিচারক লাপ্লান্তের আদালতে হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তি দিয়েছে, শ্রেণি মামলা এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, কারণ অভিভাবকদের অভিবাসন অবস্থা ভিন্ন ভিন্ন। তবে বিচারক স্পষ্ট করে দেন, জাতীয় নীতিনির্ধারণ বিচারকদের কাজ নয়, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে শ্রেণি মামলা একটি বৈধ ও কার্যকর পথ।
এই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হলে বছরে প্রায় ১.৫ লাখ নবজাতক নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হতো বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
তবে হোয়াইট হাউস এই বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
সূত্র: রয়টার্স, আইবিএননিউজ