সিলেটে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহারসহ ৬ দফা দাবিতে চলমান পরিবহন ধর্মঘট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ বাস-মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, পরিবহন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পরামর্শে এবং সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। এদিন বিকেল ৩টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে ৬ দফা দাবি আদায় বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ধর্মঘটের পেছনে থাকা ৬টি মূল দাবি হলো:
১. সিলেটের সব পাথর মহাল (কোয়ারি) ও বালুমহাল খোলার জন্য ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং সনাতন পদ্ধতিতে কার্যক্রম চালুর অনুমতি।
২. বিআরটিএর ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র ব্যবস্থা বাতিল।
৩. গণপরিবহনের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত ট্যাক্স প্রত্যাহার।
৪. স্টোন ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ ও বিদ্যুৎ মিটার ফেরত।
৫. ভাঙচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে জব্দ করা পাথর-বালুর ক্ষতিপূরণ।
৬. পণ্যবাহী যানবাহনের চালকদের হয়রানি বন্ধ ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার।
শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব মিয়া বলেন,
“বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ প্রশাসন এবং সিলেটের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। ইতোমধ্যে দুটি দাবি মানার মৌখিক আশ্বাস পেয়েছি। বাকি দাবিগুলোর ব্যাপারে বিকাল ৩টায় বৈঠকে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।”
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে এবং যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি কমাতে পর্যবেক্ষণ চালানো হচ্ছে।