এম আলি আকবার, চিফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ব্যুরো
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মো. সাব্বির ইসলাম সাকিব ও বিপ্লব শেখের কবর জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাগেরহাট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রথমে চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের শহীদ মো. সাব্বির ইসলাম সাকিবের কবর জিয়ারত করেন। পরে দলটি মোল্লাহাট উপজেলার বুড়িগাংনী গ্রামের শহীদ বিপ্লব শেখের কবর জিয়ারত করেন।
কবর জিয়ারতের সময় নেতৃবৃন্দ উভয় শহীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং খোঁজখবর নেন। শহীদ পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও সংহতি জানিয়ে নেতারা বলেন, এই দুই শহীদের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রতিনিধি দলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিমের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চিতলমারী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. মনিরুজ্জামান, মোল্লাহাট উপজেলা জামায়াতের আমির মো. হাসমত আলীসহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই ২০২৪ সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন মো. সাব্বির ইসলাম সাকিব। তিনি বাগেরহাটের চিতলমারী শেরে বাংলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আন্দোলনে অংশ নিতে তিনি টঙ্গীতে বোনের বাসায় যান এবং সেখান থেকে উত্তরায় এসে মিছিলে অংশ নেন। পুলিশ মিছিলে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি শহীদ হন।
অপরদিকে, শহীদ বিপ্লব শেখ ছিলেন একজন গার্মেন্টসকর্মী। ওই দিনই সন্ধ্যায় মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় মিছিলে অংশ নেন তিনি। এ সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের কর্মীদের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পরে উভয় শহীদকে নিজ নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাদের আত্মত্যাগ আজ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি অনন্য অধ্যায় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।