আবিদ হাসান আব্দুল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক সংবাদ ৭১
ঢাকার সাভারে স্বামীর জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করেছিলেন স্ত্রী টুনি আক্তার। কিন্তু সেই আত্মত্যাগের প্রতিদান হিসেবে পেয়েছেন অপমান ও বঞ্চনা।
টুনি আক্তার ও তারেক হোসেনের সংসার শুরু হয়েছিল ভালোবাসা ও স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হলে জীবন রক্ষায় টুনি এগিয়ে এসে স্বামীকে একটি কিডনি দান করেন। সফল অপারেশনের পর তারেক সুস্থ হলেও, কিছুদিনের মধ্যেই বদলে যায় তার আচরণ।
অভিযোগ অনুযায়ী, সুস্থ হওয়ার পরপরই স্ত্রীকে বাসা থেকে বের করে দেন তারেক এবং গোপনে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া এক প্রেমিকার সঙ্গে নতুন করে সংসার শুরু করেন।
এ ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বিষয়টিকে ‘মানবতার চরম অবমাননা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
টুনি আক্তার বলেন,
“আমি ওর জন্য জীবন বাজি রেখে কিডনি দিয়েছিলাম। অথচ ও আমাকে ঠকিয়ে এখন অন্য মেয়ের সঙ্গে সংসার করছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীরা টুনিকে আইনি ও মানসিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। জানা গেছে, টুনিও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন।
ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের এই নির্মম পরিণতির বিচার কি সমাজ দিতে পারবে? এমন প্রশ্ন এখন সকলের মুখে।