প্রভাষক জাহিদ হাসান
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেক্স
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় আবারও রক্তাক্ত হয়েছে গাজা উপত্যকা। গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) একদিনেই কমপক্ষে ১০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার মেডিকেল সূত্র। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। হামলার সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে। সেখানে ক্ষুধার্ত মানুষের লাইনে গুলি চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ১৬ জনকে হত্যা করে।
জিএইচএফ জানায়, গত মে মাসের শেষ দিক থেকে সীমিত আকারে খাদ্য বিতরণ শুরু করে সংস্থাটি। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই সহায়তা কার্যক্রম চলাকালে।
এ ঘটনার পর ১৭০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও এক যৌথ বিবৃতিতে জিএইচএফ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, “গাজার মানুষ এখন দুটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে—ক্ষুধায় মরতে হবে, অথবা গুলিতে মরতে হবে।”
এদিকে, ইসরায়েলি সেনারা আবারও গাজার উত্তরাঞ্চলীয় গাজা সিটিতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই এখানকার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাতে জানা গেছে, শহরের একটি এলাকায় ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার ৮২ শতাংশ এলাকা বর্তমানে বা তো ইসরায়েলি সামরিক নিয়ন্ত্রণে, অথবা উচ্ছেদের সরাসরি হুমকির মধ্যে রয়েছে। শেখ রাদওয়ান এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল জানান, নতুন করে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষজন রাস্তায় তাঁবু খাটিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এমন সংকটকালীন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। এক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমরা সব পক্ষকে নিয়ে গাজা যুদ্ধ বন্ধে কাজ করব। হামাসকেও আহ্বান জানাচ্ছি, এই প্রস্তাব মেনে নেওয়ার জন্য।”