1. dailysonbad@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. newsroom@dailysongbad71.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
ডক্টর ইউনূসের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ কিন্তু হ্যাপি না : রুমিন ফারহানা | দৈনিক সংবাদ ৭১
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ইলন মাস্ককে দেশছাড়া করার হুমকি ট্রাম্পের দেশে আরও ১৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত স্বৈরাচার যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ফকিরহাটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো এইচএসসি ও সমমানের তৃতীয় দিনের পরীক্ষা চৌগাছায় ভাস্কার্য ভেঙ্গে নির্মান হচ্ছে টাওয়ার লাইট ব্যবসায়ীদের ঘর দখলে চলে যাওয়া হতাশ মানুষ চৌগাছায় ভ্রাম্যামান আদালতের বিভিন্ন বাহনে অভিযান জরিমানা আদায় ১০ নম্বর আমিশাপাড়ায় সন্ত্রাসী লম্বা মানিকের নেতৃত্বে প্রবাসীর বাড়িতে প্রকাশ্য হামলা ম্যানসিটিকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে আল হিলাল সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমলো ডক্টর ইউনূসের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ কিন্তু হ্যাপি না : রুমিন ফারহানা

ডক্টর ইউনূসের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ কিন্তু হ্যাপি না : রুমিন ফারহানা

স্টাফ রিপোর্টার, মোহাম্মদ হোসাইন
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫

 


ডক্টর ইউনূসের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ কিন্তু হ্যাপি না : রুমিন ফারহানা

স্টাফ রিপোর্টার, মোহাম্মদ হোসাইন :

দেশের বর্তমান অবস্থায় এনসিপি বাদ দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে বেশ অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তার মতে, নির্বাচন ও ঐকমত্যের বিষয়ে বিএনপি অনেক ছাড় দিয়েছে। কেউ কেউ সেটা দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে।

সরকারের প্রতি অন্যদলগুলো বিরক্ত উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এনসিপি বাদ দিয়ে প্রত্যেকেরই কিন্তু সরকারের নানান কর্মকাণ্ড নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির জায়গা আছে। আমি যদি অন্য দলগুলোকে বাদও দেই, দ্য লার্জেস্ট পলিটিক্যাল পার্টি অন গ্রাউন্ড (বিএনপি) এবং বিএনপির সঙ্গে যেই রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাদেরও কিন্তু ডক্টর ইউনূসের ব্যাপারে এক ধরনের রিজারভেশন আছে। মানে ডক্টর ইউনূসের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ কিন্তু একেবারেই হ্যাপি না। আম জনতার সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন বা তারাও অনেক সময় নিজে থেকেই বলে যে কবে নির্বাচন হবে? আমরা একটা স্থির অবস্থা দেখতে চাই, একটা স্থিতিশীলতা চাই সর্বত্র।”

ডক্টর ইউনূসের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও নিজেদের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে যাচ্ছে উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, “আমি The Economist-এর রিপোর্ট দেখছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে যে একটি বড় রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচন করাটা গণতন্ত্রের জন্য খুব স্বাস্থ্যকর নয়। এবং বিবিসির যেই সাক্ষাৎকারটি আপনারা দেখেছেন ডক্টর ইউনূসের, সেখানেও কিন্তু ওনাকে বারংবার বেশ কঠিন প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সুতরাং ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার যে একটা প্রচ্ছন্ন এক ধরনের মানে ‘হি ইজ আওয়ার সান’, এই ধরনের একটা এটিচিউড ছিল, সেই জায়গা থেকে বোধহয় বিবিসি বা এই ধরনের গণমাধ্যমগুলো বেশ অনেকটাই বের হয়েছে। বিশেষ করে The Economist-এর যে সর্বশেষ রিপোর্ট এসেছে, সেটাতে এটা একেবারেই স্পষ্ট।”

লন্ডন বৈঠকের ফলোআপ প্রসঙ্গে সরকারের সাথে বিএনপির যোগাযোগ হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রতিদিনই আমরা ঐক্যমত কমিশনের একটা বৈঠক দেখতে পাচ্ছি ডক্টর আলী রিয়াজের নেতৃত্বে। আজকে আমি দেখছিলাম উনি বেশ হতাশা ব্যক্ত করেই বলছেন যে তারা খুব আশাবাদী হতে পারছেন না। তারা ভেবেছিলেন যে জুলাই সনদ খুব দ্রুতই ঘোষণা করতে পারবেন, কিন্তু সেটা পারেননি। এর মধ্যে আবার দেখছেন একটা দিবসের পরিবর্তন হয়েছে—বাংলাদেশ দিবস নাই হয়ে গেল। ঐক্যমতের তারা আসলে কী আশা করছেন, আমি জানি না। তবে আমি মনে করি, বাংলাদেশে ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে যে ঐক্যমতটি হয়েছে, এটাকেই যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি তো ছাড় দিয়েছে। তারা বলেছে—ঠিক আছে, ১০ বছরের বেশি আমরা কোন এক ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাখবো না। এটা তো বিএনপির পক্ষ থেকে একটা বিরাট ছাড়। সুতরাং সেই জায়গা থেকে বিএনপি কী পেল? নেগোশিয়েশনের নিয়মে আমি কিছু ছাড়বো, আপনি কিছু ছাড়বেন, মাঝামাঝি একটা জায়গায় আসবো। আমি যখন ছাড়ছি, তখন আপনি কী ছাড়লেন—এই প্রশ্নটা তো করতেই পারি, তাই না? ছাড়টাকে যদি কেউ দুর্বলতা ভাবে, তাহলে ভুল করবে।”

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়া ভোটে কতটা প্রভাব ফেলবে, এ বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, “শুরুতেই বিএনপি বলেছিল যে কোন দলকে কাগজে কলমে নিষিদ্ধ করা বা কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা এই বিষয়গুলোর সঙ্গে বিএনপি একমত নয়। যেই দলটির হাত ধরে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র এসেছে, ডেফিনেটলি সেই দল মনে করে যে মানুষই প্রত্যাখ্যান করবে আওয়ামী লীগকে। জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তানেই ভালো করতে পারেনি, বাংলাদেশে তো আরও কঠিন। বাংলাদেশের মানুষ জানে কাকে ভোট দিতে হবে, কার পাশে থাকতে হবে, কোন দলের সমর্থন করতে হবে। এটা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ খুব ভালো করেই বোঝে। সুতরাং, এই সিদ্ধান্তটা যদি জনগণের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হতো, তাহলেই সবচেয়ে ভালো হতো।”

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2024, All rights reserved. এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট
error: এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।