দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেক্স, প্রভাষক জাহিদ হাসান
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ দাবি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে ইরান কোনো চুক্তিতে পৌঁছেনি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, "যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। তবে ইসরায়েল যদি তেহরানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৪টার মধ্যে তাদের আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে ইরানও পাল্টা হামলা চালানো থেকে বিরত থাকবে। সামরিক অভিযান বন্ধের সিদ্ধান্ত পরে বিবেচনা করা হবে।"
এদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েল ফের ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে।
এর আগে, চলমান সংঘাতের মধ্যে গত ২১ জুন রাতের দিকে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায় তেহরান।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কোনোপ্রকার পূর্ব ঘোষণা বা উসকানি ছাড়াই গত ১৩ জুন মধ্যরাতে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে চালানো ওই অভিযানে তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র এবং আবাসিক এলাকাগুলোতে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়।
এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ এবং দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৫০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইরান।