স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের চৌগাছা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুঃ সাহিসক চুরি হয়েছে। ঈদুল আযহা ও গ্রীস্মকালীন ২১ দিন ছুটির মধ্যে চোর বিদ্যালয় থেকে ফ্যান, বেঞ্চ, অফিসে থাকা হরেক করকের সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে প্রতিটি কক্ষে তালা মারা অথচ কক্ষে ফ্যান বেঞ্চ নেই। স্কুলের চাবি দপ্তরির নিকট থাকায় সন্দেহের তীর তার দিকে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন, দপ্তরী আত্মগোপনে আছেন।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পৌর সদরের ৮নং ওয়ার্ডের মডেলপাড়া মহল্লার মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। সরকারী ঘোষিত ঈদুল আযহা ও গ্রীস্মকালিন ছুটি ছিলো ২১ দিন। এরফলে শিক্ষক কর্মচারীসহ কেউ স্কুলের দিকে নজর রাখেনি। তবে প্রতিষ্ঠানে সকল কক্ষের চাবি দপ্তরি সাজেদুর রহমান রকির নিকট ছিলো বলে জানা গেছে। সে প্রায় দিনই বিদ্যালয়ে যেতেন এবং সব কিছুর খোজখবর রাখতেন। ছুটি শেষে মঙ্গলবার বিদ্যালয় খুললে শিক্ষক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যেযে দেখতে পাই একাধিক কক্ষের সিলিং ফ্যান নেই এবং অধিকাংশ কক্ষের বেঞ্চও নেই। বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি দ্রæত স্কুলে যেয়ে বিষয়টি দেখে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয় ২১ দিন বন্ধ থাকার কারনে কেউ সে ভাবে প্রতিষ্ঠানে যাইনি তবে দপ্তরি সজেদুর রহমান রকি খোজ রাখতেন। মঙ্গলবার স্কুল খোলার পর দেখতে পাই প্রায় কক্ষে ফ্যান ও বেঞ্চ নেই। পরে হিসেব করে দেখা গেছে ২৫ টি সিলিং ফ্যান, ২৩ জোড়া লোহার বেঞ্চ এবং অফিস কক্ষে রাখা চিনামাটির গামলা, প্লেট, থালা, পিরিজ, চামচ, চা তৈরীর জগসহ অনেক কিছু চুরি হয়ে গেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়কে অবহিত করি এবং তিনি তাৎক্ষনিক প্রতিষ্ঠানে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ প্রতিষ্ঠানে এসে চুরির বিষয়টি দেখেন।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, স্কুল বন্ধ হওয়ার দিন প্রতিষ্ঠানের সকল চাবি দপ্তরির নিকট রেখে দেয়া হয়। ধারনা করা হচ্ছে বন্ধের ভিতরে সে এ সকল মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। সোমবার দপ্তরি সকল চাবি স্কুলের সুইপার হৃদয়ের কাছে দিয়ে জরুরী কাজ আছে স্কুলে আসবেনা জানিয়ে চলে গেছে। এতেই প্রমানিত হয় তার দ্বারা এই ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু তাই না দপ্তরীর ব্যবহৃত মোবাইলে সকাল থেকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানেন ছুটে যায় এবং চুরির বিষয়টি দেখে হতবাক হয়েছি। প্রতিটি কক্ষে তালা মারা আছে অথচ ভেতরে ফ্যান ও বেঞ্চ নেই। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে স্কুলের দপ্তরি সাজেদুর রহমান রকি এই কাজটি করতে পারে। তার কাছে সমুদয় চাবি ছিলো এবং সে স্কুল খোলার একদিন আগে সুপারের কাছে চাবি দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।