যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর যা বলল ইরান
প্রভাষক জাহিদ হাসান, দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেক্স :
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা (এইওআই) তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, তারা এই ঘটনায় ‘উদাসীন’ এবং ‘এমনকি জড়িত’ ভূমিকা পালন করেছে।
এইওআই বিশ্ব সম্প্রদায়কে এই হামলার নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ইরানের সঠিক অবস্থানকে সমর্থন করা এখন সময়ের দাবি। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, শত্রুদের বিদ্বেষপূর্ণ পরিকল্পনা সত্ত্বেও ইরানের বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা পারমাণবিক শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, এই হামলার ঘটনায় আইনি পদক্ষেপসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ফোরদোতে মার্কিন হামলার পর স্থানীয় বাসিন্দারা বড় ধরনের কোনো বিস্ফোরণের লক্ষণ অনুভব করেননি। সংস্থাটি আরও জানায়, ওই এলাকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই সরকারি বিশেষজ্ঞরা জানাবেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, ফোরদোর ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। হামলাটি ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এ বিষয়ে কোম প্রদেশের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট হেডকোয়ার্টার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা অবস্থিত হলেও কোম ও আশপাশের মানুষের জন্য কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই।
ইরানের পার্লামেন্ট সদস্য মানান রাইসি আল জাজিরাকে বলেন, ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় হামলাটি ছিল ‘ভাসাভাসা’। তার ভাষায়, “সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে আমি বলছি—মিথ্যাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবির বিপরীতে, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার বেশিরভাগই ভূমিতে, যা পুনরুদ্ধারযোগ্য।”