আজীজুল রহমান | মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার
২১ জুন ২০২৫, শনিবার
খুলনা সদর থানা ওলামা বিভাগের আয়োজনে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে শনিবার (২১ জুন) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বিশাল ইমাম-মুয়াজ্জিন সম্মেলন। সম্মেলনে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা এবং আলেম-উলামা ও ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মাঝে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের টিম সদস্য, বাগেরহাট জেলার সাবেক আমীর মাওলানা মশিউর রহমান খান বলেন, “জামায়াতে ইসলামী দেশের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সকল বিভেদ ভুলে উলামায়ে কেরামকে এক কাতারে আসতে হবে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা ঠেকাতে কেউ পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লব ঠেকাতে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা সতর্ক থাকুন। যারা উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছেন, তারা নিজেরাই বিপদে পড়বেন।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডা. হাফেজ মাওলানা মো. সাইফুল্লাহ মানসুর এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা মো. জাহিদুল হক ও মাওলানা মাহদি হাসান কাওসারী। প্রধান বক্তা ছিলেন অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, যিনি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরের আমীর।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন—এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল (মহানগর সেক্রেটারি), প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম (সহকারী সেক্রেটারি), মাওলানা মুহাদ্দিস আবু বকর সিদ্দিক (ওলামা বিভাগ মহানগর সেক্রেটারি), এস এম হাফিজুর রহমান (সদর থানা আমীর), এবং এডভোকেট আওসাফুর রহমান (আইনজীবী বিভাগ আমীর)।
এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন বলেন, “মসজিদকেন্দ্রিক সমাজ গঠনে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আন্তরিকতা ও নেতৃত্ব অপরিহার্য। তাঁরা সমাজ সংস্কারের অন্যতম চালিকাশক্তি।”
সভাপতির বক্তব্যে ডা. হাফেজ মাওলানা মো. সাইফুল্লাহ মানসুর বলেন, “দেশের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা জাতির রুহানী দিকনির্দেশক। তাঁদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা সমাজকে আলোর পথে এগিয়ে নিতে পারে।”
সম্মেলনে সদর থানার বিভিন্ন মসজিদ থেকে শতাধিক ইমাম-মুয়াজ্জিন স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা দ্বীনি শিক্ষা, সমাজ সংস্কার এবং ইসলাম প্রচারের কাজে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সম্মেলন ঘিরে সংগঠনের একটি সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মাওলানা মশিউর রহমান খানকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বে ওই অঞ্চলে দলের কার্যক্রম আরও গতিশীল হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে গ্রহণযোগ্যতাও বাড়ছে।