স্টাফ রিপোর্টার, প্রভাষক জাহিদ হাসান
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম দুটিতে বহুমতের প্রতিফলনের নতুন সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা শেষে বিটিভি ও বেতারকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এই রূপান্তরের জন্য একটি নীতিমালাভিত্তিক কাঠামো ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি সি আর আবরারকে কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
কমিটি অতীতে রাজনৈতিক স্বার্থে যেসব টেলিভিশন চ্যানেলকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সেসব বিষয়ে তদন্ত করবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে গণমাধ্যম লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত নীতিমালা প্রণয়নের কাজেও এই কমিটি ভূমিকা রাখবে।
প্রেস সচিব জানান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছিল, বিটিভি ও বেতারকে একটি স্বাধীন সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের অধীনে এনে সরকারের একমুখী প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে গণমাধ্যমে বহুমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ মার্চ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন তুলে দেন কমিশনের প্রধান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ।