স্টাফ রিপোর্টার, মো: রায়হান | দৈনিক সংবাদ ৭১
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণের ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। শুক্রবার (২০ জুন) তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থকে। তারা উভয়েই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে শান্ত তারা আদনান নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং পূর্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন-সংঘর্ষে তার সংশ্লিষ্টতা ছিল। অপরদিকে, স্বাগত দাস পার্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংগঠন ‘দিক থিয়েটার’-এর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মে সুরমা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। পরে তারা ভুক্তভোগীর অজান্তে ভিডিও ধারণ করে এবং তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য করে।
ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ৯(৩) ধারা এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর ৮(১)/৮(২)/৮(৩) ধারায় মামলা হয়েছে। মামলায় শান্ত তারা আদনানকে ১ নম্বর এবং স্বাগত দাস পার্থকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ ডিজিটাল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে। একজনকে ক্যাম্পাস থেকে ও অন্যজনকে সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয়।
পরে প্রক্টর অফিসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ।
ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন।