দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেস্ক
গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলের একদিনের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯২ জন ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলা বোমা ও গুলির আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছে গাজার একাধিক অঞ্চল। ক্ষুধার্ত মানুষেরা যখন ত্রাণের আশায় জড়ো হয়েছিলেন, তখনই ঘটে এই ভয়াবহ ঘটনা।
নেতজারিম করিডর গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলকে বিভক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত "গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন" এই করিডর দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করে। কিন্তু এই ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলো এখন যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
চোখের সামনে নিহত সহযাত্রীদের কথা বলতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী বাসাম আবু শার বলেন,
“খাবার পাওয়ার আশায় মানুষ রাতে সেখানে জড়ো হয়েছিল। রাত একটার দিকে ইসরায়েলি সেনারা গুলি ছোড়া শুরু করে। এরপর ট্যাংক, বিমান ও ড্রোন থেকে বোমাবর্ষণও চলতে থাকে। আমরা কাউকে সাহায্য করতে পারিনি, এমনকি নিজেরাও পালাতে পারিনি।”
মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে আল–জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজ্জুম জানান,
“ত্রাণকেন্দ্রে হামলা এখন যেন প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমান্ত অবরুদ্ধ থাকায় গাজার মানুষ এক বস্তা আটা, কয়েক বোতল পানি আর কিছু খাবারের জন্য জীবন বাজি রেখে করিডরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী,
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৫,৭০৬ জন ফিলিস্তিনি।
আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ১০১ জনেরও বেশি।