এম আলী আকবর, ব্যুরো চিফ, বাগেরহাট
বাগেরহাটে টানা ভারী বর্ষণে জেলার সদর, মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলাসহ ৯টি উপজেলার বহু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন, আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশাচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলমান মৌসুমের সর্বোচ্চ। এতে বাগেরহাট পৌরসভার রাহাতের মোড়, সাধনার মোড়, নাগেরবাজার, পোস্ট অফিস মোড়, শালতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় চরম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া, ফকিরহাট উপজেলার সিংগাতী ও সৈয়দ মহল্লায় বিদ্যুৎ লাইনের ওপর গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেলে আশপাশের পাঁচটি গ্রামে প্রায় ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মোতাহার হোসেন জানান, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে জেলার বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকায় ফিশিং ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর মেঘমালা এবং সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
মোংলা বন্দরের উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান জানান, বন্দরে অবস্থানরত দুটি চালবোঝাই জাহাজ (এমভি হোয়াং-৯ ও এমভি ট্রাংক-৮) এবং দুটি সারবোঝাই জাহাজ (এমভি টিবিএস প্রিন্সেস ও এমভি ডিপ ব্লু) থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে। তবে বাকি সাতটি জাহাজে কয়লা, ক্লিংকার ও মেশিনারি খালাসের কাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে।
সামগ্রিকভাবে, আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে জেলার কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাধারণ জনজীবনে আরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।