আজীজুল রহমান, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার, বাগেরহাট
বাগেরহাট, ১৯ জুন
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মো. মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে অনিয়ম, ভুল তথ্য উপস্থাপন এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী মো. মনির শেখ জানান, তার পিতা মৃত লিয়াকত আলী ১৯৯২ সালে একটি রেজিস্ট্রার্ড কবলা দলিলের (নং ৬৮২) মাধ্যমে ফকিরহাট উপজেলার লখপুর এলাকায় ০.০৬৭০ একর জমি ক্রয় করেন। এরপর পরিবারটি ওই জমিতে দীর্ঘ সময় ধরে ঘরবাড়ি ও দোকান নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল।
মনির শেখের ভাষ্য অনুযায়ী, তার পিতা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ওয়ারিশরা নিয়মমতো জমিটি ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি পক্ষ জমির মালিকানা দাবি করে দখলের চেষ্টা চালায়, যা নিয়ে আদালতে মামলা করা হয়।
আদালতের নির্দেশে ফকিরহাটের সাব-রেজিস্ট্রার মো. মহিদুল ইসলামকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরেজমিনে যাচাই না করে একপক্ষীয় ও ভুল তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিল করেন, যা মামলাটিকে আরও জটিল করে তোলে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সাব-রেজিস্ট্রার মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, “আদালতের আদেশে উভয় পক্ষকে ডেকে ডকুমেন্ট ও বক্তব্য সংগ্রহ করে রিপোর্ট দাখিল করেছি।”
তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সাব-রেজিস্ট্রারের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ সাধারণ মানুষকে বিচার থেকে বঞ্চিত করছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম ও অসাধু প্রক্রিয়া চলমান বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।