আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জি৭ সম্মেলন শেষ না করেই তড়িঘড়ি করে ওয়াশিংটনে ফিরে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশে ফিরেই হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক জরুরি বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এতে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জাতীয় নিরাপত্তা দলের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৈঠকের পরই জল্পনা শুরু হয়—যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানে সরাসরি সামরিক হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে? কারণ, সম্প্রতি ট্রাম্প প্রকাশ্যে তেহরান ‘খালি করে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন।
তবে হোয়াইট হাউস সূত্রের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিষয়টি বিবেচনায় থাকলেও, সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি এখনো দ্বিধায় রয়েছেন।
জানা গেছে, বৈঠকে ইরান ইস্যুতে বেশ কয়েকটি বিকল্প তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে একটি ছিল ইরানের সামরিক স্থাপনায় টার্গেটেড অ্যাটাক বা ‘সীমিত হামলা’। তবে ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক চাপ এবং হুমকির মাধ্যমে ইরানকে পরমাণু আলোচনায় ফিরিয়ে আনার কৌশলে আস্থা রাখছেন।
এদিকে, ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক পোস্টে দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অবস্থানও শনাক্ত করা হয়েছে।
পোস্টে ট্রাম্প লেখেন,
“তিনি (খামেনি) একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু আমরা তাকে হত্যা করছি না— অন্তত এই মুহূর্তে নয়।”
এই মন্তব্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরান নিয়ে ট্রাম্পের একের পর এক বিবৃতি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা শুধু ইরান নয়, পুরো অঞ্চলে ভয়াবহ সংঘাতের জন্ম দিতে পারে।