স্টাফ রিপোর্টার
ভোলা:
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটিতে ভিকটিম বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী এবং অন্যটিতে এক বিবাহিত নারী। উভয় ঘটনায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
তজুমদ্দিন থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৪ জুন) রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা ও অপর ঘটনার নারী ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১৩ জুন) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে, সোনাপুর ইউনিয়নের উত্তর চাপড়ী গুচ্ছগ্রামে। পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বেড়ানোর কথা বলে নিজের ভ্যানে করে বাড়িতে নিয়ে যান তার মামা বাদশা ওরফে বাসু (৫০)। সেখানে সুযোগ বুঝে তিনি তার বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ভাগনিকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠে। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসীর সহায়তায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুর ইউনিয়নের কেয়ামুল্যা গ্রামে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এক পরকীয়া জুটিকে আটকে রেখে ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ঘটনায় প্রধান দুই অভিযুক্ত ছাড়াও আরও কয়েকজন সহযোগিতা করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহব্বত খান জানান, পৃথক দুই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে পুলিশ। নারীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বেল্লাল (৩৫), মো. সোহেল (২৪) ও আ. রহমান সুমন (৩২) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উভয় ভিকটিমকে চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য ভোলা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পলাতক অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।