প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৫ | উৎস: সিএনএন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের পরমাণু প্রকল্পকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করাই ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য— এমনটিই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ইয়েশিয়েল লেইটার। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে এ লক্ষ্য অর্জনের আশাবাদী তারা।
ইসরায়েলি দূত বলেন,
“আমরা ইরানের সঙ্গে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে জড়িত। আমাদের লক্ষ্য ইরানের জনগণ নয়, বরং দেশটির শাসকগোষ্ঠী। আমরা ইরানকে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হওয়া থেকে বিরত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী (IAF) ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮টি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। এতে এখন পর্যন্ত ৭৮ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
ইসরায়েলি হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে এক সেনা অভিযান চালায় ইরান। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ইসরায়েল লক্ষ্য করে ১৫০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান, এতে একজন নিহত ও ৪১ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ১০০টিরও বেশি সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী এ হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিজেদের অভিযানকে ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ নাম দিয়েছে।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইয়েশিয়েল লেইটার সিএনএনকে জানান,
“আমাদের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যেই আমরা ইরানের পরমাণু প্রকল্প পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলতে পারব। এটা শুধু আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানানো হলেও, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই যুদ্ধ আরও ব্যাপক আকার ধারণ করলে তা গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
✍ রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক ডেস্ক
📌 ফলো করুন: [দৈনিক সংবাদ ৭১] | বিশ্ব সংবাদ বিভাগ