রোজার আগে নির্বাচনের প্রস্তাব তারেক রহমানের
নিজেস্ব প্রতিবেদন:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী রমজান মাসের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রস্তাব তিনি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার (১৩ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ডরচেস্টার হোটেলে এই গুরুত্বপূর্ণ ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক আলোচনা হয়।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়,
“তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজান শুরুর আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তাব করেন। তিনি জানান, এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন হলে দেশে স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের পথ সুগম হবে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন, ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে রাজনৈতিক সমঝোতা ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ তৈরি হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে জানান,
“আমরা ইতোমধ্যে আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছি। যদি সাংবিধানিক সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন সংক্রান্ত প্রস্তুতিসহ সবকিছু সময়মতো সম্পন্ন হয়, তবে রমজানের আগেই, অর্থাৎ ২০২৬ সালের মার্চের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, এই সময়সীমার মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার, আইনি ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক সংলাপ সম্পন্ন করা হবে। নির্বাচন কমিশন, বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসন পুনর্গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে দেশীয় রাজনীতির বর্তমান বাস্তবতা, আন্তর্জাতিক চাপ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে, রাজপথের সহিংসতা ও রাজনৈতিক বিভাজনের অবসান ঘটিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে বিএনপি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের রূপরেখা দিতে চাচ্ছে। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও নির্বাচনী প্রস্তুতির একটি বাস্তবসম্মত টাইমলাইন নির্ধারণের দিকে এগোচ্ছে।