শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: জানালেন মির্জা ফখরুল
হারুন অর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১০ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় তিনি এ তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন,
“জনগণের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে যাচ্ছে। আমরা আশাবাদী, দেশবাসী খুব শিগগিরই তারেক রহমানকে দেশে দেখতে পাবে।”
এই ঘোষণার পর বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
সংলাপের সময় বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান,
“আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। ডাক্তারদের মতে, বর্তমানে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।”
দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তি দাবিতে বিএনপি বিভিন্ন সময় আন্দোলন করে আসছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব নিশ্চিত করেন, আগামী ১৩ জুন শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মির্জা ফখরুল জানান,
“এই বৈঠককে বিএনপির স্থায়ী কমিটি স্বাগত জানিয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর গুরুত্ব ও সম্ভাবনা অত্যন্ত ব্যাপক। আমরা মনে করি, এই বৈঠক থেকে দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের একটি বাস্তব দিকনির্দেশনা বেরিয়ে আসতে পারে।”
তিনি আরও বলেন,
“দলের স্থায়ী কমিটি তারেক রহমানকে যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্ণ এখতিয়ার দিয়েছে।”
বিএনপি মহাসচিব আশা প্রকাশ করে বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে অনেক জটিল সমস্যার সমাধানের পথ খুলে যেতে পারে। তিনি বলেন,
“আমরা বিশ্বাস করি, এই সংলাপ রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে পারে। জাতীয় স্বার্থে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সময়ের দাবি এবং একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।”
এই বৈঠক এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সংলাপ হতে পারে একটি যুগান্তকারী মোড়। বিশেষ করে, আসন্ন নির্বাচন, গণতান্ত্রিক পুনঃপ্রতিষ্ঠা, এবং নির্বাচনী কাঠামো নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা কেন্দ্র করে জাতির দৃষ্টি এখন ১৩ জুনের দিকে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন তারেক রহমান। বিএনপির কার্যক্রমে তিনি দলীয় নেতৃত্বের মূল ভূমিকা পালন করে আসছেন, যদিও তার অনুপস্থিতিতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে। তাই তার প্রত্যাবর্তন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।