মির্জাগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পুনর্মিলনী, র্যালি ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী, র্যালি ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে মির্জাগঞ্জ উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে এক জমজমাট ইসলামি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যেখানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল হক। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পটুয়াখালী জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এডভোকেট নাজমুল আহসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম কায়সারী।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল, আদর্শভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে পুনরায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের সাংগঠনিক মান বৃদ্ধি করে, ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।”
বক্তারা আরও বলেন, “বিগত সরকারের অধীনে দেশে দুর্নীতি, হত্যা, নির্যাতন, ও নিপীড়নের যে চিত্র জাতি দেখেছে, তা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ হলো ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই লক্ষ্যেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, জনগণের সমর্থন নিয়ে ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে দেশে শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল হক বলেন, “আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার কোনো বিকল্প নেই। ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদেরকে আরও সুসংগঠিত হয়ে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইসলামি মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এজন্য আমাদের সবাইকে জামায়াতের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।”
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা শাহ জাহান সম্মেলনের সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন। সম্মেলন শেষে একটি শান্তিপূর্ণ র্যালি উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিলো উৎসবমুখর পরিবেশ ও ভ্রাতৃত্বের উষ্ণতা।
সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত জামায়াত নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, ইসলামী রাজনীতির প্রতি জনগণের আস্থা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।