প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন সকালে: প্রেস সচিব
লন্ডন প্রতিনিধি |
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহুল আলোচিত বৈঠকটি আগামী ১৩ জুন সকালে অনুষ্ঠিত হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, বৈঠকটি কোনো নির্দিষ্ট ফরমেট অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তিনি বলেন,
“তারেক রহমান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির শীর্ষ নেতা। সে বিবেচনায়ই এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
এই বৈঠককে অনানুষ্ঠানিক ও খোলামেলা আলোচনার মাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
প্রেস সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ‘জুলাই চার্টার’ নামে পরিচিত প্রস্তাবিত রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া, এবং অন্যান্য সমসাময়িক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এই বৈঠককে ঘিরে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম নিয়েছে। বিশেষ করে দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের। অনেকে মনে করছেন, এটি হতে পারে একটি সম্ভাব্য রাজনৈতিক সমঝোতার সূচনা।
২০০৮ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান বর্তমানে বিএনপির কার্যত প্রধান হিসেবে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত, নীতি নির্ধারণ এবং কূটনৈতিক যোগাযোগে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে জাতীয় সংলাপ ও রাজনৈতিক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করছে। এই প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি বৈঠককে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
উল্লেখযোগ্য যে, বৈঠকটি এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ, নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো এবং রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও আলোচনা চলছে।
এই বৈঠকের ফলাফল দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা বয়ে আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।