বেনাপোলে গ্রেফতার গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জি. এম. শাহাবুদ্দিন আজম
বিশেষ সংবাদদাতা
বেনাপোল, যশোর থেকে: গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা জি. এম. শাহাবুদ্দিন আজমকে ভারত যাওয়ার সময় যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১১টার দিকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জি. এম. শাহাবুদ্দিন আজমের বিরুদ্ধে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এবং গোপালগঞ্জ সদর থানায় একাধিক গুরুতর ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ নানা গুরুতর অভিযোগ রয়েছে যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে আসছে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, জি. এম. শাহাবুদ্দিন আজম পাসপোর্ট নম্বর B00073948 ব্যবহার করে ভারত প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকিংয়ের সময় তার নাম ও পাসপোর্ট নম্বর পুলিশের তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আটককৃত জি. এম. শাহাবুদ্দিন আজম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বিনাপানি গার্লস স্কুল রোড এলাকার বাসিন্দা। তার পিতা মৃত মইনুদ্দিন। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছিলেন।
তবে পুলিশ বিষয়টি স্পষ্ট করেছে যে, তার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর মামলা রয়েছে। ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলায় (মামলা নম্বর-৫২, ধারা-৩০২/১১৪/১০৯) তিনি এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে রয়েছে। এছাড়াও ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে গোপালগঞ্জ সদর থানায় আরও একটি মামলায় (মামলা নম্বর-২৪, ধারা-১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৩১/৩০২/১০৯/১০৪) তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, “ইমিগ্রেশনে আটক ব্যক্তিকে আমাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে মামলার পরোয়ানা থাকায় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।”
এই ঘটনায় বেনাপোল সীমান্ত এলাকা ও আশপাশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন এবং প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, অভিযোগ প্রমাণিত হলে জি. এম. শাহাবুদ্দিন আজমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী তৎপর রয়েছে।