বিশেষ সংবাদদাতা :
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বেশ কিছু সংক্রমণপ্রবণ দেশে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনার সর্বশেষ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ।
২০২৫ সালের ৯ জুন (সোমবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় এ বিষয়ে বিস্তারিত সতর্কতা ও করণীয় তুলে ধরা হয়।
নতুন এসব সাব ভেরিয়েন্ট মূলত অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপধরন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ধরন আগের তুলনায় দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম, যদিও মৃত্যুহার তুলনামূলক কম। আইসিডিডিআরবি-এর গবেষকেরা দেশের ভেতরে এক্সএফজি এবং এক্সএফসি নামের দুইটি নতুন ধরন শনাক্ত করেছেন, যেগুলো অমিক্রনের শক্তিশালী ধরন জেএন-১ এর উপধরন বলে জানা গেছে।
করোনার এই সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের উপর বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি। বিশেষ করে ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশ থেকে আগত যাত্রীদের উপর বাড়তি স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নজরদারির কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিকদেরও এসব দেশে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১. নিয়মিত ও প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে অন্তত ২৩ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে
২. নাক ও মুখ ঢাকতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে
৩. আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে
4. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে
5. হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিতে হবে
সম্প্রতি দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি এখনই আশঙ্কাজনক নয়, তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ অবস্থায় আগেভাগেই সতর্ক হওয়া এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরনগুলো দ্রুত ছড়াতে পারে। তাই এখনই সচেতন না হলে বড় পরিসরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। নিজে সচেতন হোন, পরিবারকে সচেতন করুন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলুন।