আরও ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে
দৈনিক সংবাদ ৭১ ডেক্স:
দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে না গেলেও প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ১০১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়, যাদের মধ্যে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখ করুন) প্রকাশিত নিয়মিত করোনা সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৬০ জনে। করোনার সংক্রমণ দেশের নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লেও চিকিৎসা এবং সচেতনতার কারণে নতুন শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে আসছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন মাত্র ২ জন। ফলে মোট সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৮ জনে। করোনায় কেউ মারা না গেলেও, মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে।
দেশে মহামারীর শুরু থেকে করোনা শনাক্তের মোট হার ১৩.০৫ শতাংশ, আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১২.৮৭ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর মাত্র ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম একজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু ঘটে। এরপর থেকে বিভিন্ন ঢেউ আসতে থাকে, যার মধ্যে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ৫ ও ১০ আগস্ট দু’দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মারা যান। এই সময়গুলো ছিল দেশের জন্য এক বিশেষ সংকটকাল।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে টিকা কার্যক্রম ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্কতা অবলম্বন করে চলার পরামর্শ দিচ্ছে এবং জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে, যেন সবাই মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং নিয়মিত হাত ধোয়া চালিয়ে যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি, তাই সবার উচিত সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। নতুন কোনো ধরনের করোনা ভ্যারিয়েন্ট আসার সম্ভাবনাও রয়ে গেছে, তাই সংক্রমণ কমলেও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা জরুরি।
সরকার টিকা কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে আসছে এবং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছে মানুষ।
এভাবে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে আমরা এই মহামারীকে পরাজিত করতে পারব বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।