আজীজুল রহমান, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার, বাগেরহাট
বাগেরহাট জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত স্টেডিয়াম সংলগ্ন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট (ভ্যাট) অফিসে রাতভর ধর্ষণ ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থানীয় এক নেতা ও ভ্যাট অফিসের অস্থায়ী কর্মচারী। ঘটনা জানাজানির পর পুরো এলাকায় নেমে আসে চাঞ্চল্যের ঢেউ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোররাতে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাতের আঁধারে ভ্যাট অফিসের ভেতরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে আসছিল। ঘটনার দিন রাতে চরম পর্যায়ে পৌঁছায় বিষয়টি, যার জেরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম বাবু একজন নারীকে অর্থের বিনিময়ে অফিসে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে তিনি ও সুমন মিলে গভীর রাত পর্যন্ত নারীটির সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকেন। রাতের শেষভাগে টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে আশপাশের মানুষ বিষয়টি টের পায় এবং পুলিশকে অবহিত করে।
বাগেরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন,
“ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও লজ্জাজনক। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছি। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে আরো তদন্ত চলছে এবং ভ্যাট অফিসের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই ধরনের ঘটনা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এবং প্রশাসনিক নজরদারির ঘাটতি স্পষ্ট করে তুলছে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের মধ্যে ঘটনাটি ঘিরে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। তারা এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। পাশাপাশি সরকারি অফিসগুলোতে ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তা ও পর্যাপ্ত নজরদারির জোর দাবি উঠেছে।