প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সৌজন্য সাক্ষাৎ:
পবিত্র ঈদুল আজহার বরকতময় দিনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তাঁর পত্নীর সস্ত্রীক সৌজন্য সাক্ষাৎ দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ সাক্ষাৎ জাতীয় ঐক্য, সম্প্রীতি ও সহযোগিতার বার্তা বহন করে, যা বর্তমান সময়ে জাতির জন্য এক আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাক্ষাতের সময় উভয় ব্যক্তিত্ব একে অপরকে পবিত্র ঈদুল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশবাসীর কল্যাণ, শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ করে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যে বোঝাপড়া ও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়—এমন ধারণায় উভয়পক্ষ একমত পোষণ করেন।
ঈদুল আজহার মহৎ শিক্ষা—ত্যাগ, সহানুভূতি ও মানবিকতা—এই সাক্ষাতের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “এই উৎসব শুধু ধর্মীয় নয়, এটি মানবিক মূল্যবোধের এক চমৎকার প্রতিফলন। আমরা যদি ত্যাগের এই শিক্ষা ব্যক্তি ও রাষ্ট্রজীবনে প্রয়োগ করতে পারি, তবে বাংলাদেশ একটি আরও সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজে পরিণত হবে।”
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ঈদের আনন্দ শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি একটি সমষ্টিগত অনুভূতি। আমাদের সেনাবাহিনী সবসময় দেশের মানুষের পাশে আছে, এবং জাতির যেকোনো সংকটে তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।”
এ ধরনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সাক্ষাৎ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্কের বার্তা দেয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরে। দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই সংলাপে আশার আলো খুঁজে পাচ্ছে, যা জাতীয় সংহতি ও উন্নয়নের পথে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।
এই ঈদের আনন্দের মধ্য দিয়ে আমরা যেন সবাই মিলে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হই, আত্মত্যাগের মানসিকতা গড়ে তুলি এবং শান্তি-সম্প্রীতির সমাজ গঠনে এগিয়ে আসি—এই হোক আমাদের সকলের অঙ্গীকার।