দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রভাষক জাহিদ হাসান:
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঈদের এই পবিত্র দিনে তিনি দেশবাসীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়ার আহ্বান জানান।
শনিবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণসংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় এই জামাত শুরু হয়। নামাজ শেষে তিনি উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
নামাজ শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, “সবার প্রতি ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক। আসুন, এই পবিত্র দিনে আমরা সকলে দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নতির জন্য একসঙ্গে দোয়া করি। ত্যাগের আদর্শ আমাদের ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হোক।”
ঈদের এই প্রধান জামাতে অংশ নেন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিক এবং সাধারণ মুসল্লিসহ হাজারো মানুষ। পুরো ঈদগাহ এলাকা ছিল ঈদের খুশিতে মুখরিত।
জামাতে ইমামতি করেন দেশের খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। নামাজ শুরু হয় সকাল সাড়ে ৭টায় এবং শেষ হয় ৭টা ৪২ মিনিটে।
এছাড়া রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের পাঁচটি জামাত। প্রথম জামাত হয় সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টায়, তৃতীয় ৯টায়, চতুর্থ ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে।
ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এদিন মুসলমানরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পশু কোরবানি করে থাকেন, যা ত্যাগ, ধৈর্য ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রতীক। এই পবিত্র উৎসবের মূল শিক্ষা হলো আত্মত্যাগ ও মানবকল্যাণ।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন—
“আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানির বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছি, যাতে তারা ওই পশুদের জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। আর তোমাদের প্রতিপালক তো এক আল্লাহই, তোমরা তারই অনুগত হও।” (সুরা হজ: ৩৪)
এই পবিত্র উপলক্ষে দেশের প্রতিটি শহর ও গ্রামে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছে, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা বিনিময় করছে।