এপ্রিলে নির্বাচন করতে হলে জুলাইয়ের মধ্যেই দিতে হবে ঐকমত্যের ঘোষণাপত্র: হাসনাত আব্দুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আগামী এপ্রিল মাসে নির্বাচন আয়োজন করতে হলে চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ঘোষণাপত্র ও “জুলাই সনদ” দিতে হবে। একই সঙ্গে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি এবং নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার দিন কুমিল্লার দেবিদ্বারে জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহত পরিবারের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত বলেন,
“ইতোপূর্বে আমাদের নেতা নাহিদ ইসলাম এসব বিষয়ে কথা বলেছেন। দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দাবি করছি। জনগণের সিদ্ধান্তই হবে দেশের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা।”
ঈদের দিন সকালে এনসিপির উদ্যোগে দেবিদ্বারে জুলাই বিপ্লবের শহীদ ১৪ পরিবার ও আহত ৬০ জনের পরিবারের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ করা হয়। এর আগে দেবিদ্বার নিউ মার্কেট এলাকায় শহীদ ও আহতদের জন্য ৪টি গরু কুরবানি দেওয়া হয়। পরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজ হাতে শহীদ পরিবারের বাড়ি বাড়ি মাংস পৌঁছে দেন এবং তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
তিনি বলেন,
“শহীদ এবং আহতদের কাছে আমাদের দায় আছে। তারা দেশের একটি আমূল পরিবর্তনের জন্য রক্ত দিয়েছে। সেই ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। যে স্বপ্ন নিয়ে জুলাই বিপ্লবে ছাত্র জনতা রক্ত দিয়েছে, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন,
“আজ শহীদ পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার চেষ্টা করেছি। আজকে শহীদ রুবেল ও সাব্বিরের পরিবারের যে পরিস্থিতি, সেই জায়গায় আমরাও থাকতে পারতাম। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, তিনি যেন শহীদদের জান্নাতবাসী করেন।”
জুলাই সনদ হতে পারে জাতীয় সংকট উত্তরণের রূপরেখা
বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে বের হতে “জুলাই সনদ” হতে পারে একটি ঐতিহাসিক দলিল— এমন মন্তব্য করে হাসনাত বলেন,
“আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে নয়, সংলাপ ও জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি নতুন সূচনা চাই। রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীলতা এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সেটা সম্ভব।”