রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন বাজারে আনসার ও হিলভিডিপি কর্তৃক ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

মোঃ মোজাফ্ফার আহমেদ (আফজাল), বিলাইছড়ি প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন বাজারে আজ বুধবার (৩ জুন ২০২৫) সকাল ১০টা থেকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (হিলভিডিপি)-এর পক্ষ থেকে অসহায় ও স্বল্প আয়ের ১৯০টি পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এই মহৎ কর্মসূচির মাধ্যমে পাহাড়ি জনপদে শান্তি, সম্প্রীতি এবং মানবিক সহায়তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বাহিনীটি।

আনসার ও হিলভিডিপি দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কার্যক্রম শুধু নিরাপত্তা বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রীক নয়, বরং সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডেও রয়েছে সরব উপস্থিতি। তারই ধারাবাহিকতায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসচ্ছল জনগণের মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে এই ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।

উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল—পোলাও চাল ১ কেজি, সেমাই (সাধারণ) ৪০০ গ্রাম, লাজ্জা সেমাই ৪০০ গ্রাম, গুঁড়া দুধ ২০০ গ্রাম, সুজি আধা কেজি, লুডলুস ৩০০ গ্রাম, চিনি ১ কেজি, সয়াবিন তেল ১ কেজি এবং একটি শপিং ব্যাগ। এই সামগ্রীগুলো ঈদের দিনটিকে আনন্দময় করে তুলতে সহায়তা করবে সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর জন্য, যারা নিত্যদিনের সংগ্রামে একফোঁটা হাসির খোঁজ করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিলাইছড়ি উপজেলা আনসার ও হিলভিডিপি কর্মকর্তা মো: হাসিবুল হাসান শারদ, উপজেলা আনসার ও হিলভিডিপি প্রশিক্ষক মো: মিজানুল হকসহ ছয়টি প্লাটুনের প্লাটুন লিডার (পিএল) এবং সদস্যবৃন্দ। তারা পুরো কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করেন এবং উপস্থিত সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা প্রদান করেন।

উপহার পেয়ে উপকারভোগীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং আনসার ও হিলভিডিপি’র এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তারা জানান, ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার এমন মানবিক কার্যক্রম সত্যিকার অর্থেই সমাজে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেয়। অনেকেই বলেন, এই সহায়তা তাদের ঈদ উদযাপনকে আনন্দময় করে তুলবে, যা এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।

সমাজে শান্তি, সহমর্মিতা এবং সহযোগিতার এই ধারা যেন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে—এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। আনসার ও হিলভিডিপি যেন সবসময় মানুষের পাশে এভাবেই দাঁড়ায়, সেই শুভকামনাও জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।