রাজশাহীর চারঘাটে ডিবি পুলিশের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ দুই মাদককারবারি গ্রেফতার, পলাতক আরও ২
মো: গোলাম কিবরিয়া
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
রাজশাহী জেলার চারঘাট থানাধীন মোক্তারপুর গ্রামে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদককারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে ২০২৫) বেলা ১২:১০ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,
১। মোঃ রাজু (২৭), পিতা মোঃ রাজ্জাক, গ্রাম মোক্তারপুর, চারঘাট, রাজশাহী
২। মোঃ অংকন (২৭), পিতা মোঃ ইকবাল হোসেন, একই গ্রাম ও থানা।
ডিবি পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, অভিযানের নেতৃত্ব দেন রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ মাহাবুব আলম। ঘটনার দিন সকাল ১১:১০ মিনিটে তিনি ও তার ফোর্স চারঘাট থানাধীন সারদা বাজার ও আশপাশের এলাকায় মাদকবিরোধী ডিউটি করছিলেন। এ সময় তারা গোপন সূত্রে জানতে পারেন, মোক্তারপুর গ্রামে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে বেলা ১২:১০ মিনিটে মোঃ রাজুকে আটক করা হয়। তার ডান কাঁধে থাকা একটি সাদা রঙের প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশি করে ১০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। সাথে সাথেই অপর অভিযুক্ত মোঃ অংকনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই অভিযানে মাদক চক্রের আরও দুই সদস্য মোঃ উজ্জল ও মোঃ সবুজ হোসেন কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা একই এলাকার বাসিন্দা এবং পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
গ্রেফতারকৃত দুই মাদককারবারি মোঃ রাজু ও মোঃ অংকন এবং পলাতক দুইজনের বিরুদ্ধেও পূর্বে একাধিক মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের ব্যবসার সাথে জড়িত।
এই ঘটনায় রাজশাহী জেলার চারঘাট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে চক্রটির বিস্তৃত নেটওয়ার্ক এবং মাদক সরবরাহের পথ উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
রাজশাহী জেলা পুলিশ সাধারণ জনগণকে মাদকবিরোধী অভিযান সম্পর্কে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছে এবং মাদক চক্র সম্পর্কে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “মাদক নির্মূলে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”