প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, তবে ২০২৬ সালের জুনের পরে হবে না।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংক খাত স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখনও দুর্বল। একই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ভঙ্গুর রয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, বিপ্লবের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করবে। যা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুলে দেবে। একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনে সহায়তা করবে। তবে ঐক্যে পৌঁছানো সহজ ব্যাপার নয়। কোন কোন কমিশন থাকা উচিত, তা নিয়েই রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে মতপার্থক্য শুরুতেই রয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, কেউ কেউ বলছেন, দেশের অর্থনীতির মূলভিত্তি তৈরি পোশাক খাত নিয়ে একটি কমিশন থাকা উচিত ছিল; আবার কারো অভিযোগ, শিক্ষা খাতকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হয়নি। সবচেয়ে বড় বিতর্কের জন্ম হয়েছে নারী সংস্কার কমিশনকে ঘিরে, যা অনেক পরে গঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ ইস্যুতে ড. ইউনূস বলেন, ১২ মে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।