আজ বিশ্ব মা দিবস। মায়ের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস পালন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে সূচনা হলেও বর্তমানে সারা বিশ্বেই দিবসটি পালিত হয়। বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও দিনটি পালিত হবে।
সন্তানরা মায়ের প্রতি ভালোবাসা জানাতে কেউ ফুলসহ বিভিন্ন উপহার দিয়ে মাকে শুভেচ্ছা জানাবে। তবে মা দিবস শুধু একটি নির্দিষ্ট দিনেই সীমাবদ্ধ নয়। একজন মা যেভাবে তার সন্তানকে যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে বড় করে তোলেন, সে ঋণ কোনো দিনই শোধ করা যাবে না। এজন্য মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও যত্ন শুধু একটি দিবসের মধ্যে না রেখে মাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসাই সন্তানদের দায়িত্ব।
এবার আজাদ প্রোডাক্টস রত্নগর্ভা হলেন ৩৫ মা । বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে আজাদ প্রোডাক্টসের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবার ৩৫ জন মাকে ‘রত্নগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড-২০২৩-২৪’ দেওয়া হবে। আজ ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে রতœগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড আয়োজন করা হবে। গতকাল শনিবার সকালে আজাদ সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আজাদ প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। আবুল কালাম আজাদ জানান, আজ আমাদের ২১তম বর্ষবরণ। ২০০৩ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানটি করে আসছি। যতই দিন যাচ্ছে অনুষ্ঠানটির জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মায়েদের আনন্দ করার দিন হলো মা দিবস।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস পালনের প্রচলন শুরু হয় আমেরিকান সমাজকর্মী জুলিয়া ওয়ার্ড হোই নামের এক নারীর হাত ধরে। ১৮৭০ সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় শান্তির প্রত্যাশায় জুলিয়া একটি ঘোষণাপত্র লেখেন। এটি মাদারস ডে প্রোক্লেমেশন নামে পরিচিত ছিল। এ ঘোষণার মধ্যে জুলিয়া রাজনৈতিক স্তরে সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য রাখেন। এরপর যুদ্ধ শেষে পরিবারহীন অনাথদের সেবায় ও একত্রীকরণে নিয়োজিত হন মার্কিন সমাজকর্মী অ্যান মারিয়া রিভস জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মেরি জার্ভিস। এ সময় তারা জুলিয়া ওয়ার্ড ঘোষিত মা দিবস পালন করতে শুরু করেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে আনা রিভিজ জার্ভিস ১৯০৫ সালের ৫ মে মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে আনা মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ শুরু করেন। ১৯০৮ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার একটি গির্জায় আনা তার মায়ের স্মরণে অনুষ্ঠান করেন। একই বছর মার্কিন কংগ্রেস মা দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব নাকচ করে। তবে হার মানেননি আনা। তিনি তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মা দিবস পালিত হতে থাকে। অবশেষে আনার প্রচেষ্টা সফল হয়। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবেও ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস হিসেবে পালিত হতে থাকে।