
চট্টগ্রামে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে চলছে জোর প্রস্তুতি, ড. ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
নিজেস্ব প্রতিবেদন:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আগামী ১৪ মে প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চট্টগ্রামের জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তাদের বিশ্ববরেণ্য কৃতীসন্তানকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী ১৪ মে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এদিন তাকে ডি-লিট ডিগ্রি দেবে চবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে হতে যাওয়া সর্ববৃহৎ এ সমাবর্তনে অংশে নিবেন ২২ হাজার ৫৬০ জন গ্র্যাজুয়েট। এদিন ২২ গবেষককে পিএইচডি ও ১৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিজ হাতে স্বাক্ষর করা সনদও পাবেন।
বিশ্ববিদ্যালটি তাঁর পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের জোবরা গ্রামের পাশে অবস্থিত। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগদানের পাশাপাশি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জোবরা গ্রামও পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ গ্রামেই তিনি তাঁর প্রথম ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই করেন।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওইদিন কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। যা বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম বিশাল জনগোষ্ঠীর বহুল প্রতীক্ষিত সেতু। কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রস্তুতির বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীণ আজাদীকে বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এদিন তাকে ডি-লিট ডিগ্রি দেবে চবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে হতে যাওয়া সর্ববৃহৎ এ সমাবর্তনে অংশে নিবেন ২২ হাজার ৫৬০ জন গ্র্যাজুয়েট। এদিন ২২ গবেষককে পিএইচডি ও ১৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিজ হাতে স্বাক্ষর করা সনদও পাবেন।