
পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে যুদ্ধ শুরু।
প্রায় মাসব্যাপি হুংকার এবং পাল্টা রণ হুংকারের মাঝেই শুরু হয়ে গেল পাক ভারত যুদ্ধ। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের মোজাফফরাবাদের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। ভারতের এই বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত আজাদ কাশ্মীরের শিশু এবং নারীসহ তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভারতের যুদ্ধ বিমানগুলো ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের আকাশসীমায় থেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এদিকে বসে নেই পাকিস্তানও, তারা ভারতের এই কাপরুষোচিত হামলার যথাযথ জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ইতিমধ্যে তারা ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় গোলাবর্ষণ শুরু করে দিয়েছে। তাদের পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত ভারতের অসংখ্য সামরিক যান ধ্বংস হয়ে গেছে এবং তাদের তিনটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপতিত করা হয়েছে। ভারত দাবি করেছে তাদের হামলা ছিল সংক্ষিপ্ত এবং সু নিয়ন্ত্রিত। আপাতত তাদের সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করলেও পাকিস্তানের পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দক্ষিণ এশিয়ার পরাশক্তিধর দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। মাসব্যাপী যুদ্ধ যুদ্ধ হুংকার পাল্টা হুংকারের মাঝে ভারতের গতকালকের ক্ষেপণাস্ত্র হামলারটি ছিল আগুনে ঘি ঢালার মতো। ভারত এবং পাকিস্তান উভয়েই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। সুতরাং দুদেশের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ বেধে গেলে তা পারমানবিক যুদ্ধের রূপ নিবে। ধ্বংস হয়ে যাবে কোটি কোটি মানুষের জীবন, নগর সভ্যতা।দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা যুদ্ধ চাইনা শান্তি চাই। তবে আমরা চাইলেই তো আর সবকিছু রোধ করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের কেও পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার। ২১ শতকের এই আধুনিক সভ্যতায় এসেও দেখতে হচ্ছে যে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো ছোট ছোট এবং তুলনামূলক কম শক্তিধর দেশগুলোকে কিভাবে গ্রাস করে নিচ্ছে। তাই আমাদেরকেও পূর্ণ সচেতন হতে হবে এবং সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা বিভাগের সর্বোচ্চ আধুনিকায়ন এবং সময়োপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সরকারের নিকটে বিনীত আবেদন করছি। আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব দীর্ঘজীবী হোক।