1. dailysonbad@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. newsroom@dailysongbad71.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
ইছালী মডেল কলেজের অধ্যক্ষের নিয়োগই অবৈধ,সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন, দুই কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, বৈধ অধ্যক্ষ যোগাযোগ না করতে পেরে ঘুরছে দারে দারে | দৈনিক সংবাদ ৭১
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলা চালানো হবে: হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর ইরানে ইসরায়েলি হামলার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ গাজার ত্রাণ সহায়তা সোনার দাম আরেক দফা বাড়লো রাজশাহীর বাগমারায় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে খেলাফত যুব মজলিসের ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোদায় নাইট ফুটসাল ব্যাচ ভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টের জমকালো উদ্বোধন জগন্নাথপুরে সাংবাদিক ও সংগঠক আহমেদ হোসাইন ছানুকে সংবর্ধনা যশোরে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার: আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড? জাতিসংঘে ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সম্মেলন স্থগিত, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্তে অটল ফ্রান্স

ইছালী মডেল কলেজের অধ্যক্ষের নিয়োগই অবৈধ,সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন, দুই কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, বৈধ অধ্যক্ষ যোগাযোগ না করতে পেরে ঘুরছে দারে দারে

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
  • ৬১ বার দেখা হয়েছে

যশোর সদর উপজেলাধীন ইছালী মডেল কলেজের অধ্যক্ষের নিয়োগই অবৈধ,সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন, দুই কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, বৈধ অধ্যক্ষ যোগাযোগ না করতে পেরে ঘুরছে দারে দারে

স্টাফ রিপোর্টার:

যশোরের ইছালী মডেল কলেজে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত ও পরে অধ্যক্ষ বনে যাওয়া নূরে আলম সিদ্দিকী মিলনের বিরুদ্ধে প্রায় দুই কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও  মামলা চলমান থাকার পরও অবৈধভাবে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করে চলেছে বলে অভিযোগ।    নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উল্লেখ করে আদালত তার সকল কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিলেও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শুধু কলেজকেই পুঁজি করে তিনি ওই টাকা পকেটস্থ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্য, মোটা টাকার বিনিময়ে জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করে শিক্ষক সিরিয়াল তালিকায় চরম বৈষম্য, কলেজের কৃষি ডিপ্লোমা শাখার টাকা নয় ছয়, কলেজ এমপিও ও শিক্ষকদের বেতন করানোর নামে টাকা আদায়, ভুয়া বিল ভাউচারসহ নানা ফন্দিফিকির করে নুরে আলম ওই টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। অধ্যক্ষ মিলন ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাবার তৈরি বাড়ির দুটি রুমে থাকলেও ২০২০ সালে নিজস্ব বাড়ি করেছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, মামলাসহ নানা জটিলতায় প্রতিষ্ঠানে তার বেতন ২০২২ সালে হয়েছে, আর তার আগেই তিনি ৩ তলা বাড়ি ও ১৩টি পাকা দোকান তৈরি করেছেন। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাসহ বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়। সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ও যশোর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগপত্র, বোর্ডে জমা দেয়া বিভিন্ন সময়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করেও উঠে এসেছে অনিয়ম দুর্নীতির নানা তথ্য। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অভিভাবক ও এলাকার লোকজন জোর দাবি তুলেছেন। দাবির মুখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একজন শিক্ষককে।

যদিও এসব অভিযোগ অসত্য ও কয়েকজন স্বার্থান্বেসী শিক্ষকের ভুয়া অভিযোগ বলে দাবি করে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ নূরে আলম সিদ্দিকী।

২০০৪ সালের ১২ নভেম্বর পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রস্তাবিত ফটিক মোল্লা মডেল কলেজে অন্যান্য আবেদনকারীর মতে নূরে আলম সিদ্দিকী প্রভাষক বাংলা পদে আবেদন করেন। তখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি বিষয়ে ১জন করে প্রভাষক’ নিয়োগের কথা উল্লেখ ছিল। ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর যশোর প্রকারি সিটি কলেজে নিয়োগ বোর্ডে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন রসমি আরা খাতুন। ২৭ ডিসেম্বর সভাপতি কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগ পত্রের ভিত্তিতে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে বাংলা প্রভাষক হিসেবে রশমি আরা খাতুন যোগদান করেন। এরপর কোনো নতুন বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ১ মাস পরে নূরে আলম সিদ্দিকী ওই বাংলা প্রভাষক পদের দ্বিতীয় প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মর্মে প্রচার করেন। বিধি মোতাবেক পত্রিকার বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি বিষয়ে ১ জন করে উল্লেখ ছিল। আবার ইন্টারমিডিয়েট কলেজে এক বিষয়ে দুই জন প্রভাষকের নিয়োগ ও বেতন হওয়ার বিধি না থাকলেও তিনি অদৃশ্য কারণে নিয়োগ পান। আবার তার এম.এ তৃতীয় বিভাগ ছিল। যা ১৯৯৫ জনবল কাঠামোর ম্যানুয়াল বহির্ভূত। এরপরও তিনি নিয়োগ পেয়ে কলেজে আসা যাওয়া শুরু করেন। ২০০৯ সালে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলতাফ হোসনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কলেজে আসা বাধা প্রদান করেন। আর জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করে তিনি প্রভাষক থেকে সরাসরি সেজে বসেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। আর দলীয় পদ পদবী ও নেতাদের ব্যবহার করে আদালতের আদেশ অমান্য করে উক্ত বিষয়ে মামলা চলমান অবস্থায়  ২০১৩ সালে সেজে বসেন অধ্যক্ষ। ২০০৯ সালে  মূল নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ আহম্মদ আলী আদালতে মামলা করেন এবং অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে আদালত থেকে নূরে আলমের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসেন। এরপরও দলীয় ছত্রছায়ায় চেয়ার দখল করে শুরু হয় তার আর্থিক দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম স্বেচ্ছাচরিতা। তথ্য মিলেছে, ২০০৯ সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই নূরে আলম সিদ্দিকী মিলন কলেজের আয় ও অনুদানের টাকার হিসেব কাউকে দেননি। কলেজের কেনাকাটা নিয়ে তিনি নিজেই করতেন। কলেজে এসে আজ্ঞাবহ কিছু ও কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত প্রভাষক ও কর্মচারী দিয়ে সব ভাউচার স্বাক্ষর করাতেন। ২ হাজার টাকা খরচ হলে ভাউচার করাতেন ১০ হাজার টাকা। আর ভুয়া ভাউচার তৈরি করে আজ্ঞাবহদের দিয়ে স্বাক্ষর করাতেন। কয়েকজন প্রভাষক ও কর্মচারী জেনে শুনেও ওই অবৈধ ভাউচারে স্বাক্ষর করতেন। ২০১২ সালে সাবেক এমপি খালেদুর রহমান টিটো কলেজে আলমারি কেনার জন্য ২৪ হাজার টাকা দেন। আর সেই টাকা দিয়ে নিজের বাড়ির আলমারি তৈরি করেন নূরে আলম। ২০০৯ সালে কলেজ – এমপিও করার কথা বলে এমপি রনজিত রায়কে দেয়ার কথা বলে সকল প্রভাষক ও কর্মচারীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও তার সহযোগী বিএম আলমগীর হোসেন। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠান এমপিও না হলে এমপি রনজিত রায় সেই টাকা ফেরত দেন। কিন্তু ২০১২ সালে সকল প্রভাষক ও কর্মচারী মিটিং করে সেই টাকা ফেরত চান। এর আগেও বহুবার ফেরত চাইলেও কারো কথায় কর্ণপাত করেননি। মিটিং করেও সকল প্রভাষক ও কর্মচারীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছ থেকে কোনভাবেই টাকা ফেরত পাননি। ওই সময় নূরে আলম সিদ্দিকী মাসে ২০% হার লাভে দেয়ার কথা বলে নিজের ব্যবসায়ে লাগাবেন বলে জানান। তিনি কাঠের ব্যবসা করবেন বলে জানান। সেই টাকা বেমালুম হজম করে ফেলেন নূরে আলম। এ সময় যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক বাবুল আক্তার ও বাংলার প্রভাষক রসমি আরা খাতুন প্রতিবাদ করলে তাদের শায়েস্তা করার হুমকি দেন নূরে আলম। ওই টাকা তিনি নিজের কাছেই রেখে দেন। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠান এমপিও করার সময় একটি টাকাও লাগেনি। অথচ শিক্ষক এমপিও করার সময় শিক্ষকদের থেকে অধ্যক্ষ ও বিএম আলমগীর হোসেন টাকা আদায় করেছেন। যারা টাকা ফেরত চাইতেন, তাদের উপরে চলতো মানসিক নির্যাতন। এরপর ২০১৩ সালে অনিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অধ্যক্ষ সেজে বসেন। আর ২০১৪ সালে ৪ জন প্রভাষক নিয়োগ দিয়ে মাথাপ্রতি নিয়েছেন ১০ লাখ টাকা করে। কোর্টের আদেশ অমান্য করে তিনি ৪ জন প্রভাষকের নিয়োগও দেন। তারা হচ্ছেন জীবন দত্ত প্রভাষক আইসিটি, অমিতাভরাজ প্রভাষক সমাজ কর্ম, আবু সাঈদ প্রভাষক ম্যানেজমেন্ট বিএম শাখা, হাসনা হেনা প্রভাষক বাংলা বিএম শাখা। এছাড়াও ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রভাষকদের টিউশন ফিসের টাকা তিনি নিজে ভোগ করেছেন। প্রতিবাদ করলে বা টাকার কথা বললে শিক্ষকদের উপর মানসিক নির্যাতন করতেন অধ্যক্ষ মিলন ও সন্ত্রাসী আলমগীর। ২০২২ সালে ৪ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে তাদের থেকে নিয়েছেন ৪০ লাখ টাকা। তারা হচ্ছেন আব্দুল্লাহ আল মারুফ কম্পিউটার অপারেটর, মেহেদী হাসান ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, ইমদাদুল হক নিশাত ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, মৃণাল কান্তি ঘোষ ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট।

বর্তমানে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে অধ্যক্ষের নামে দুটি মামলা চলছে। একটি বৈধ অধ্যক্ষ আহম্মদ আলীর, অন্যটি রসমি আরা খাতুনের। দু’টি মামলাই কলেজের টাকা দিয়ে চালাচ্ছেন অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ ও আজ্ঞাবহ বিএম আলমগীর হোসেনের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়ে ২০১০ সালে কোর্টে মামলা করেন রসমি খাতুন। ১১ বছরে তার মামলা বাবদ খরচ হয় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এসবের প্রতিবাদ করায় কৃষি ডিপ্লোমা শাখার বাংলা প্রশিক্ষক শফিকুল ইসলামকে মিথ্যা অপবাদ নিয়ে শো’কজ করেন যে, রাতে কলেজে এসে আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রয়োজনীয় নখি নিয়ে গেছেন। পো’কজের যথাযথ উত্তর দিলেও নূরে আলম সিদ্দিকী মিলন ও বিএম আলমগীর হোসেন তাকে কোনোভাবেই কলেজে ঢুকতে দেন না। এর কারণ হচ্ছে, যাতে অধ্যক্ষ নির্বেঘ্নে কৃষি ডিপ্লোমা শাখার আয় চুরি করতে পারেন। ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ওই শফিকুলের শাখা থেকে নূরে আলম সিদ্দিকী মিলন প্রতি মাসে বেতন নিয়েছেন প্রথমে ৫ হাজার টাকা করে ও পরে ১০ হাজার টাকা করে। এখান থেকেও ‘৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা নূরে আলম সিদ্দিকী মিলন পকেটস্থ করেন। ২০২৪ সালের রোজার ঈদে প্রভাষক ও কর্মচারীর জন্য বরাদ্দকৃত ৪০ হাজার টাকা নূরে আলম সিদ্দিকী মিলন নিজে খরচ করেছেন। শিক্ষকরা কলেজ থেকে ২০১৯ সালের পর থেকে এ বিষয়ে একটি টাকাও পাননি। যে সকল প্রভাষক ও কর্মচারী চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ২০১৯ সালে এমপিও হওয়ার পরে অনেকে কলেজে ফিরে এসেছেন। তাদের থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন নুরে আলম।

আরও অভিযোগ রয়েছে, অর্থনীতির প্রভাষক শাহানারা খাতুনের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন অধ্যক্ষ। তিনি টাকা না দেয়ায় ‘ভুয়া অভিযোগ’ সাজিয়ে তাকে বহিস্কার করেন ২০২০ সালে। কলেজে কৃষি ডিপ্লোমা শাখার উপার্জন অনেক। ৪ বছরে ৮ সেমিস্টার। প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের আসন। প্রতি ৬ মাস অন্তর ৫০ জন ৩৫শ’ টাকা করে কলেজে জমা দেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত সে শাখায় আয় ব্যয় ছিল অন্ধকারে। অভিযোগ থেকে তথ্য মিলেছে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত কৃষি ডিপ্লোমা শাখা থেকে বেতন নিয়েছেন ২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এরিয়া বিল পেয়েছেন তিনি। অনৈতিকভাবে হাতিয়ে নেয়া এসব টাকা ফেরত দেয়ার দাবিও তুলেছেন শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক ও এলাকার সাধারণ লোকজন। একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি করারও দাবি তুলেছেন তারা।

২০০৯ সালের ২৫ এপ্রিল অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার আলোকে নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক বৈধ অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আহম্মদ আলী জানিয়েছেন, আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত নূরে আলম সিদ্দিকী। তিনি প্রথমে অবৈধ প্রভাষক ও পরে অবৈধ অধ্যক্ষ। তার জানামতে আড়াই কোটি টাকার উপরে আত্মসাৎ করেছেন তিনি। নিজে অবৈধ অধ্যক্ষ হয়েও পরে লাগাতার অবৈধ নিয়োগ দিয়ে পকেট ভারি করেছেন। তার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন অভিযোগ দেয়া আছে বিভিন্ন দপ্তরে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আদালতকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। সব আদালতেও দোষী হয়েছেন নূরে আলম। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও সুনির্দিষ্ট করে দুর্নীতি অর্থ বাণিজ্যসহ মালামাল আত্মসাতের সিজার লিষ্ট দেয়া হয়েছে। দ্রুতই কঠিন তদন্ত শুরু হচ্ছে পলাতক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। যশোর বোর্ড তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে নূরে আলম পলাতক আছেন। যে কারণে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে প্রভাষক হাফিজ শরীফকে দায়িত্ব দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।

প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের মধ্যে মধ্যে বাংলা প্রভাষক রসমি আরা খাতুন জানিয়েছেন, সকল কর্মকান্ডই প্রশ্নবিদ্ধ নূরে আলম সিদ্দিকীর। ২০০৪ সালের ১২ নভেম্বর দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। প্রতি বিষয়ে ১ জন করে প্রভাষক নিয়োগের কথা উল্লেখ ছিল। ২২ ডিসেম্বর সরকারি সিটি কলেজে নিয়োগ বোর্ডে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। আর ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯ টার সময় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যোগদান করেন। অথচ যোগদানের ১ মাস পরে আরও একজন বাংলার প্রভাষক দেখতে পান। ইন্টারমিডিয়েট কলেজে দুইজন বাংলার প্রভাষকের নিয়োগ / বেতন কখনও হওয়ার কথা নয় এবং নূরে আলমের এম.এ তৃতীয় বিভাগ, যা ১৯৯৫ জনবল কাঠামোর ম্যানুয়েল বহির্ভূত। তাহলে নূরে আলম প্রথম থেকেই অবৈধ। প্রতিষ্ঠানটি ডিগ্রি পর্যন্ত না খুললে মিলন অধ্যক্ষ তো দূরের কথা একজন প্রভাষকও নন। তার কিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার উপরে আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। যা বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজ শরীফের সাথে কথা বললে তিনি জানিয়েছেন, সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অনিয়ম অসঙ্গতির একটি সিজার লিষ্ট দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। বর্তমানে নতুন কমিটি তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলমান। নূরে আলম শুধু ২০২২ সালে নিয়োগ দিয়ে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিগত সময়ে আছে আরো অনেক অংক। সব মিলিয়ে কোটি টাকার উপরে তিনি পকেটস্থ করেছেন। প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপসহ কিছু মালামাল নিয়ে গেছেন নিজের বাড়িতে। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলায় চলছে। পলাতক বলুন আর অনুপস্থিত বলুন তিনি কলেজে আসেন না গত ৫ আগস্টের পর থেকে। এ কারণে শিক্ষাবোর্ড তদন্ত করে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের ১৫ জন শিক্ষকই অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এর যথাযথ তদন্ত চান সবাই। তিনিও স্বচ্ছভাবে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করে যেতে চান।

প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি জনাব মাহমুদুল আলম জানিয়েছেন, নূরে আলমের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আসছে তা তদন্ত করা হবে। দোষী হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2024, All rights reserved. এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট