আজ ১/৫/২০২৫ পহেলা মে দিবস ”
শ্রমিকদের ঘামে বিশ্ব উন্নয়ন
গণমাধ্যম কর্মী কলম সৈনিক :
স্টাফ রিপোর্টার নূর মোহাম্মদ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
এই মাসের প্রথম দিন পালন করা হয় মে দিবস।
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের আশিটি দেশে পহেলা মে সরকারি ছুটি রাখে। অনেক দেশে এটি বেসরকারিভাবেও পালিত হয়ে থাকে…! ১৯৭২ সালে মে দিবস কে জাতীয় শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় তৎকালীন সরকার।
পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় শ্রমজীবী পেশাজীবী মানুষ টিকে শোভাযাত্রা এবং মিছিলের মাধ্যমে পালিত করে থাকে।সবার চিন্তা করা উচিত একদিন কাজে না যায় তাহলে পৃথিবী অচল হয়ে যাবার মতো অবস্থা হবে.!তাই মিল কারখানার মালিকদের প্রত্যেক শ্রমজীবী ভাইদেরকে দিন ছুটি ও একদিনের মজুরি দিয়ে হলেও তাদের পরিবারকে সময় দিতে পারে?
কিন্তু মহাজনদের হৃদয়ে এরকম চিন্তা ভাবনা কেন আসে না”
মালিকরা এসে রুমে বসে পায়ের উপর পা তুলে খুব আনন্দে দিন কাটায় কিন্তু এই দিকে শ্রমজীবী ভাইয়েরা দ্বীনের পরদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কথাই বলে যে যত বড় তার মনুষত্ব তত ছোট হয়ে যায়।
অনেক শ্রমিকরাই ইতিহাস সম্পর্কে জানেনা আজকের এই দিনে শ্রমিকদেরকে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা মজুরি বা কাজ করতে হতো।
ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে একদল শ্রমিক মালিকপক্ষকে দৈনিক ৮ ঘন্টার চাকরি করার মতামত জানাই “..!
কিন্তু কাজ অনুপাতে পার্টিক শ্রমিক ছিল একেবারেই স্বল্প জীবনধারণের জন্য যথার্থ ছিল না তাই একপর্যায়ে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনের ডাক দেয়।
১৮৮৬ সালের ৪ঠা মে শিকাগোর হে মার্কেট নামক স্থানে ফের আন্দোলন গড়ে তোলেন শ্রমিকেরা। সেখানে পুলিশ আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি বর্ষণ করলে নিহত হন ১১জন শ্রমিক।
এ ঘটনার দুই বছর পর ১৮৮৯ সালে প্যারিসে ফরাসি বিপ্লবের ১০০ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের প্রথম কংগ্রেসে শিকাগো শ্রমিক আন্দোলনের দিনটিকে ১৮৯০ সাল থেকে পালনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। পরের বছর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কংগ্রেসে প্রস্তাবনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। পরে ১৯০৪ সালে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণের দাবি আদায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বব্যাপী মে মাসের প্রথম দিন মিছিল ও শোভাযাত্রার আয়োজন করতে সব সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল ও শ্রমিক সংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের সাড়া হিসেবে বিশ্বের প্রায় সব শ্রমিক সংগঠন ১লা মে বাধ্যতামূলক কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক দেশের শ্রমিকেরা মে মাসের ১লা তারিখ সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালনের দাবি জানান। বিভিন্ন দেশে মে দিবস সরকারিভাবে ছুটির দিন হিসেবে পালিত হতে থাকে। ধীরে ধীরে রাশিয়া, চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ দিনটির তাৎপর্য ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠা পায়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে মে দিবস পালিত হয়। স্বাধীনতার পর মে দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে মহান মে দিবস উপলক্ষে ততকালীন সরকার শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মে দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় মে দিবস। এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য থাকে শ্রমিকদের তাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা। যাতে করে বাংলাদেশের সবাই মে দিবসের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারেন ও নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে আমরা মে দিবস পালন করি, সেটি কতটা সফল হয়,মে দিবসেও কিছু মানুষ রুটিরুজির সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছেন কাজে। কারণ এক বেলা কাজ না করলে তাঁর পরিবারকে কাটাতে হবে অনাহারে। কারও কারও আবার মেলে না ছুটি।ছুটির দিনে কাজের জন্য জোটে না বাড়তি অর্থও। আট ঘণ্টা কাজের কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনিয়ম চোখে পড়ার মতো। কাজ করতে হচ্ছে আট ঘণ্টার অধিক। দেওয়া হচ্ছে না ওভারটাইম বা অতিরিক্ত সময়ের পয়সা। মে দিবস পালন তো এসব মানুষের কাছে একপ্রকার বিলাসিতাই।আমরা দেখি বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত। প্রতিটি তৈরি পোশাক কারখানায় আট ঘণ্টার বেশি কাজ হয় প্রতিদিন। ওভারটাইম করতে আগ্রহী না থাকলেও বাধ্য হয়ে তা করতে হয়। সেই ওভারটাইমের টাকাও ঠিকমতো পাওয়া যায় না বা দিতে নানা ছলচাতুরী করে মালিকপক্ষ। শ্রমিকরা সারাদিন কষ্ট করে
ভর দুপুরে খা খা রোদে মাথার ঘাম পায়ে
ফেলে শক্ত পেশী ছুঁয়ে তপ্ত শরীর হয়ে ফোঁটা ফোঁটা ঘাম ঝরিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কলকারখানার কাজ করে দেয়।তাদের থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয় আমাদের শিল্পপতিরা। কিন্তু শ্রমিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না।শুধু গার্মেন্ট শিল্প নয়, অধিকাংশ খাতে এমন পরিস্থিতি আমরা দেখতে পাই।ইপিজেড বা জোনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরির হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কর্মস্থলে দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দেশে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আইন থাকার পরও করোনা মহামারিতে অসংখ্য শ্রমিক হারিয়েছেন তাঁর আয়ের প্রধান উৎস। পত্রপত্রিকায় আমরা এগুলো নিয়মিত দেখতে পাই। কিন্তু সাধারণ জনগণের কিছুই করার থাকেনা। আমরা শুধুমাত্র একটু ব্যথিত হই। তাই আজ লেখার মাধ্যমে তুলে ধরলাম। অফিসে (ফরমাল সেক্টর) চাকরি করেন, এমন অসংখ্য মানুষ মহামারিকালে কাজ হারিয়েছেন। চাকরি আছে কিন্তু বেতন নেই, এমন মানুষের সংখ্যা শেষ নেই।লিখতে গেলে লেখা শেষ হবেনা। তাই মেহনতী মানুষের জন্য শ্রদ্ধা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি ।আমি চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস একজন ছবি প্রেমী মানুষ ছবি আঁকার পাশাপাশি লেখার সাধনা করি। আমি এই লেখাটি লেখার জন্য গুগল থেকে ইতিহাস সম্পর্কে সাল- তারিখ গুলো সংরক্ষণ করেছি বাকিটা আমার চিন্তাধারা থেকে লিখেছি। আপনারা সবাই আমার জন্য শুভ কামনা করবেন আমি যেন মৃত্যুর পরেও আমার কর্মের মাঝে বেঁচে থাকতে পারি।সমাজের অবহেলিত মানুষের কর্মকাণ্ড, দুঃখ দুর্দশা চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরি।