খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ উপাচার্য অধ্যাপক এস কে শরিফুল আলমকে অব্যাহতি দিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন উপাচার্য ও উপ উপাচার্য এর দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।”
একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়ার কথা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।”
এনসিপির এই নেতা তার পোস্টে বলেন, ‘শুনলাম, ১৪ জন ভিসি শিক্ষা উপদেষ্টাকে হুমকি দিয়েছেন, কুয়েটের ভিসিকে সরানো যাবে না। পোলাপান মরলে সেটা তাদের পছন্দ (চয়েজ)।’
তিনি বলেন, ‘এটা যদি সত্য হয়ে থাকে এই ১৪ জন ভিসিসহ কুয়েট ভিসিকে অপসারণ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভুলে যাইনি, ২ আগস্টও কতিপয় ভিসি হাসিনার গণভবনে গিয়ে বলেছিলেন- আপনি পদত্যাগ করবেন না, প্রয়োজনে আরও গুলি করেন।’
উল্লেখ্য, কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার আজ বুধবার তাদের সঙ্গে দেখা করে কর্মসূচি থেকে সরে আসার আহ্বান জানলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।