“মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য, প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা”
রিপোর্টার: রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ,
মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি,
দৈনিক সংবাদ -৭১।
টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)-তে বহিরাগতদের আনাগোনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা ক্যাম্পাসে নিজেদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে শঙ্কিত।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে অবাধে প্রবেশ করে উচ্চস্বরে গান বাজানো, ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা, মাদকসেবনসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তিকে বিঘ্নিত করছে।
বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত “হাতির কবর” নামক এলাকাটি। শিক্ষার্থীদের দাবি, সেখানে নিয়মিতভাবে কিছু বহিরাগত ও কিছু অচেনা ব্যক্তি অশালীন এবং অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। সন্ধ্যার পর ওই এলাকা প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ায় সেখানে অসামাজিক কাজের প্রবণতা বেড়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা এই স্থানটি নিরাপদ রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও প্রশাসন এসব বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে প্রক্টরিয়াল দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন, প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারণে বহিরাগতরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে স্থানীয় স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অবাধ বিচরণ এবং তাদের দ্বারা সংঘটিত বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগতদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ এবং প্রক্টরিয়াল টিমকে আরও সক্রিয় করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিচে উল্লেখ করা হলো:
* বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে অবাধে প্রবেশ এবং তাদের দ্বারা নানা অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ।
* শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ এবং প্রশাসনের উদাসীনতার সমালোচনা।
* ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের দ্বারা মেয়েদের উত্ত্যক্ত ও হেনস্তার ঘটনা।
* শিক্ষার্থীদের বিরক্তি প্রকাশ এবং ক্যাম্পাসে নিজেদের বহিরাগত মনে হওয়ার অনুভূতি।
* প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা এবং ঢিলেঢালা আচরণের অভিযোগ।
* ক্যাম্পাসের ভেতরে স্থানীয় কলেজের শিক্ষার্থীদের দাপট ও অশ্লীল আচরণের অভিযোগ।
এই ঘটনাগুলি থেকে বোঝা যায়, শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আচরণ এবং প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট।