ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। পাশাপাশি দেশটিকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে সিরিয়া। সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক ক্রেইগ মারির বরাতে এমন খবর প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট মনিটর। সাবেক এই কূটনীতিকের দাবি, এরই মধ্যে নেতানিয়াহু প্রশাসনের সঙ্গে গোপন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
সিরিয়ার ইসরায়েল বিরোধী প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সশস্ত্রগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম দামেস্কের ক্ষমতা গ্রহণ করে। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এবার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিকের বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, ২০২৬ সালের মধ্যেই ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রদূত বিনিময়ের পরিকল্পনা আছে সিরিয়ার। মূলত পশ্চিমা সহায়তা ও সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আশ্বাসেই এমন সিদ্ধান্তে রাজি হয়েছেন আল-শারা বলে উল্লেখ করা হয়।
ক্রেইগ মারে দাবি করেছেন, সিরিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে-এই আশ্বাস আল-শারা ব্যক্তিগতভাবে যুক্তরাজ্যকে দিয়েছেন।
ক্রেইগ মারে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ সিরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে এবং রাষ্ট্রদূত বিনিময় করবে।
তিনি বলেছেন, হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গোষ্ঠীর নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তা আনা। সেইসঙ্গে সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
সাবেক এই ব্রিটিশ কূটনীতিক জানান, আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম ইসরায়েলি বাহিনীর সিরিয়া থেকে প্রত্যাহার এই চুক্তির অংশ কিনা। আশ্চর্যের বিষয় হলো, কোনো পক্ষই বিষয়টি উত্থাপন করেনি।
ক্রেইগ মারে বলেছেন, যুক্তরাজ্য এটিকে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বিষয় হিসেবে দেখে।