পটুয়াখালী জেলা, মির্জাগঞ্জ উপজেলার কেওয়াবুনিয়া গ্রামে সার্বজনীন লোকনাথ ভক্ত-মন্দিরে ২৪ প্রহরব্যাপী শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও ৩০ তম মহোৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত।
মোঃ জলিলুর রহমান
(বরিশাল ব্যুরো চিফ) মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী।
পটুয়াখালী জেলা,মির্জাগঞ্জ উপজেলার কেওয়াবুনিয়া গ্রামের (বিধমনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন) ভুমি দাতা বাবু ধীরেন সিকদার ও বাবু স্বপন কুমার সিকদার, বাবু বঙ্কিম চক্রবর্তী প্রতিষ্ঠিত সার্বজনীন লোকনাথ ভক্ত মন্দিরে ৩০তম শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও মহোৎসব ১৪৩১/২০২৫ অনুষ্ঠিত।
এখানে একাধিক বিভাগ ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত স্বনামধন্য গোবিন্দ ভক্ত সম্প্রদায় – গোপালগঞ্জ, পার্থ সারথী সম্প্রদায় – সাতক্ষীরা, সত্য সনাতন সম্প্রদায় – গোপালগঞ্জ, রাই রসরাজ সম্প্রদায় – বাগেরহাট, শ্রীকৃষ্ণ সেবা সংঘ – ঢাকা, বিষ্ণুপ্রিয়া সম্প্রদায় – গোপালগঞ্জ, নারায়ণ কৃষ্ণ সম্প্রদায় -বরগুনা কীর্তন পার্টিদের সমন্বয়ে নাম কীর্তন চলতে থাকে। দীর্ঘ ২৪ প্রহর ব্যাপী এই শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান কীর্তনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন অমৃত চন্দ্র সরকার।
অনুষ্ঠান সম্পর্কে সভাপতি বলেন,
এই তমসাচ্ছন্ন ঘোর কলিযুগে পাপাচ্ছন্ন জীব উদ্ধার ও শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ ও পাথেয় শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর কলি যুগের সর্বকালের অমৃত শাশ্বত বাণী হরিনাম মহামন্ত্র সংকীর্তন। ইহাই সনাতন হিন্দু ধর্মের মুল সার সিদ্ধান্ত। তাই জগতের মঙ্গলার্থে কৃষ্ণভক্ত সাধু গুরু বৈষ্ণবগণের পদধুলি পাওয়ার মানসে এবারও আমরা দেশমাতৃকা, বিশ্বের সকল জীবের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার পূজাঅর্চনা ও শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান, মহাপ্রভুর ভোগরাগ অন্তে মহাপ্রসাদ বিতরণ ও মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাড়িতে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত এই শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের এখানে যে পরিমাণ ভক্ত পূজারী সমবেত হয় তাতে আমি বসার জায়গা তথা সেবা দিতে অক্ষম। আমি আজ পর্যন্ত কোন সরকারি অনুদান পাইনি। আমাদের এই মন্দির ঘরটি অনেক পুরনো বিভিন্ন জায়গায় ক্ষয়ে গেছে। তাই একটু বৃষ্টি হলেই সম্পূর্ণ মন্দির এবং মাঠ ভিজে যায়। যার ফলে ভক্তবৃন্দের পূজা অর্চনা করতে অনেক সমস্যা হয়।
তাই ধর্ম মন্ত্রণালয় তথা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে আমি প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার পূজা পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যাতে আমি একটি পাকা আরচালা পেতে পারি। তিনি আরও বলেন হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় প্রতিবছর। তাদের আমরা জায়গা দিতে পারছি না এটি খুব জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। এখানে লোকজন বসে কীর্তন শোনার মত পরিবেশ নেই। বর্ষা শুরু হলেই স্থানটি কাদাময় হয়ে যায়। তাই আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে মন্দির সংস্কার এবং একটি আরচালা পাওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। অনুষ্ঠানের সৌজন্যে ছিলেন গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার, দধি ভান্ডার (নিউমার্কেট পটুয়াখালী)।