
ছাতকে ফুটবল মাঠের আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ আহত ৩ জন, অবস্থা থমথমে ।
মিজানুর রহমান হাছনু, ছাতক প্রতিনিধি।
ছাতক সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মুক্তিরগাও ও রাতগাও গ্রামের মধ্যে ফুটবল মাঠের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৩ জন আহত হন। জানা যায়, রাতগাও ও মুক্তিরগাও গ্রাম পাশাপাশি অবস্থান করায় দীর্ঘ দিন থেকে দুই গ্রামের খেড়োয়াল বৃন্দ এক সাথে রাতগাও পয়েন্টে সংলগ্ন মাঠে খেলাধুলা করে থাকেন। গত কয়েকদিন আগেও একটি বড় ট্রুনামেন্ট সফলতার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। গত ২ দিন আগে এই মাঠেই কথা কাঠাকাঠির এক পর্যায়ে উভয় গ্রামের খেড়োয়াড়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে গতকাল রবিবার উভয় পক্ষ থেকেই মাঠ দখলের ঘোষণা আসে। মিথালী ক্রিড়াচক্র রাতগাও বনাম জাগরণ যুব সংঘ কাঞ্চনপুর এর মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ বিকাল ৩ ঘটিকায় ও সোনার বাংলা স্পোর্টিং ক্লাব মুক্তির গাও বনাম ফ্রেন্ডস ক্লাব গাবুরগাও এর প্রীতি ম্যাচ একই সময় খেলার ঘোষণা আসলে দুপক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ঘড়ির কাঁটা ৩:৩০ মিনিট বাজতেই উভয় পক্ষই মাঠে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাঠে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। এসময় মিথালী ক্রিড়াচক্রের মিজানুর রহমান মিজান সহ আরও ২ জন আহত হন। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতেই অবস্থান করেন। এলাকার মুরুব্বিদের মধ্যস্ততায় প্রথম দফা শেষ হলেও উভয় পক্ষের মধ্যে চলে দাওয়া পাল্টা দাওয়া, এক পর্যায়ে এলাকার মুরুব্বিদের সমন্নয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে এক লক্ষ টাকা জামানত রেখে পরদিন সোমবার সকাল ১০ ঘটিকায় রাতগাও পয়েন্টে সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এদিকে জাগরণ যুব সংঘ কাঞ্চনপুর এর খেড়োয়াড়বৃন্দ মুক্তিরগাও গ্রামের ভিতর দিয়ে আসার সময় সোনার বাংলা স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্যদের দ্বারা অসৌজন্য মূলক আচরণের সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান তারা।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কাছ থেকে জানা যায়, অনেক আগে থেকেই এই মাঠে উভয় পক্ষই খেলাধুলা করে থাকেন কিন্তু নাম আমরা রাতগাও পয়েন্ট হিসাবেই জানি হঠাৎ করে মুক্তিরগাও পয়েন্ট কেন কীভাবে আসল তা আমাদের বোধগম্য নয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগামীকাল সকাল ১০ ঘঠিকায় শালিস বৈঠক না হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আবারও উভয় গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।